ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক
Published: 23rd, June 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিজ ঘর থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের রিকশাচালক ছেলে আল আমিনকে (২৬) আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য জানান।
রবিবার (২২ জুন) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় হত্যার শিকার হন হাফিজ উদ্দিন (৬৫) নামে ওই ব্যক্তি।
নিহত হাফিজ উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একসময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করা হাফিজ উদ্দিন বার্ধক্যজনিক কারণে ভিক্ষা করতে শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
জামিনে মুক্তি পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
নারায়ণগঞ্জে চার ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া খুন
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, রাত দেড়টার দিকে পাশের রুমের বাসিন্দারা চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন, নিহতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায়, রুমের ভেতরে নিহত বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। পাশেই তার ছেলে বসে আছেন।
ছেলে আল আমিনকে আটক করে থানায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে করলে, তিনি তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ছেলে জানায়, তারা বাবা ভিক্ষা করে এটা তিনি মানতে পারছিলেন না। নিষেধ করলেও মানছিলেন না তিনি। এ কারণে গলাটিপে এবং খাটের সঙ্গে মাথা থেতলে বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল আমিন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান। রাজনৈতিক কুটিলতার মধ্যে এ সাম্প্রদায়িকতা এখন না, হাজার বছর আগে থেকে আছে।
কোনো মানুষ কিংবা ধর্ম সাম্প্রদায়িক নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করাতে হয়। যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এইচ এম এরশাদও ’৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন। বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু–মুসলমানের ব্যবধান বুঝি না। আমি খারাপ আর ভালো লোকের ব্যবধান বুঝি। সৎ লোক–প্রতারকের ব্যবধান বুঝি। আমি সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করি না, অসাম্প্রদায়িক জীবন যাপন করতে পছন্দ করি।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান আমরা একটা বৃহত্তর সংস্কৃতির অংশ। এখানে কোনো প্রভেদ ছিল না, কোনো বিভেদ ছিল না। এটাকে শেখ হাসিনা ভাঙতে চেয়েছেন।
দেখাতে চেয়েছেন এই দেশ বিভেদ–বিভাজনে ভরপুর। সুতরাং আমাকে সমর্থন করো। অন্য বিরোধী দল কাউকে সমর্থন করবে না। এ কারণে তিনি জোর করে জনসমর্থন ব্যতিরেকে দিনের ভোট রাতে করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছেন।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।