সতীনের সঙ্গে কারিশমার সম্পর্ক কেমন?
Published: 23rd, June 2025 GMT
গত ১২ জুন যুক্তরাজ্যে মারা যান বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। মরদেহ ভারতে নিয়ে আসা তৈরি হয় জটিলতা। সব সংকট কাটিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়ের মরদেহ।
গত ১৯ জুন দিল্লিতে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কন্যা সামাইরা ও পুত্র কিয়ানকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। রবিবার (২২ জুন) দিল্লিতে প্রয়াত শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের স্মরণসভা ছিল। সঞ্জয়ের সবকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার বর্তমান (তৃতীয়) স্ত্রী প্রিয়া কাপুর ও তার দুই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনটি বিয়ে করেন সঞ্জয়। শেষকৃত্যে দুই স্ত্রী উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি প্রথম স্ত্রী নন্দিতা মাহতানিকে। তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও শেষবার দেখতেও আসেননি নন্দিতা। তবে কারিশমা সব অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কবে আসছে অজয়ের ‘দৃশ্যম থ্রি’?
পরের মিসাইলটি হয়তো আমার মা-ভাইকে আঘাত করবে: মান্দানা করিমি
সঞ্জয়-কারিশমা দম্পতির প্রথম সন্তান সামাইরা। ২০১০ সালে তাদের পুত্রসন্তান কিয়ানের জন্ম হয়। তার ছয় বছরের মাথায় বিবাবিচ্ছেদ হয় কারিশমা-সঞ্জয়ের। এরপর মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়া সাচদেবকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। বিয়ের বছরখানেক পর অর্থাৎ ২০১৭ সালে তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
প্রিয়ার আগের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, সঞ্জয় তাকেও দত্তক নেন। কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও তার দুই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতেন প্রিয়া। বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে তোলা ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেবল তাই নয়, কারিশমার দুই সন্তান নিয়ে ছুটি কাটাতেও গিয়েছেন প্রিয়া। এমনকি কিয়ানকে ‘চোখের তারা’ বলে সম্বোধনও করেছেন।
সঞ্জয়ের শেষকৃত্যে প্রিয়াকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় কারিশমাকে। স্মরণসভায় প্রিয়ার পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন কারিশমা। সতীন হলেও আপাতদৃষ্টিতে তাদের সম্পর্ক তিক্ত নয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষণা পরিচালক ইসাবেল লাসে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের এই রায় অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে বিবেকের বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কখনো উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বাংলাদেশের (তৎকালীন) কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পদ্ধতিগত ও সহিংস উপায়ে দমন-পীড়ন চালানোর ধারা পরিবর্তন করাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ইসাবেল লাসে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, নিজেদের আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যেসব কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করা। যাঁরা এসবের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজের দিকে যাত্রা করছে বলে অনেকে আশা করছেন, তাই সেখানে এ ধরনের দমনমূলক কৌশলের কোনো স্থান নেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, শহিদুল আলমের মামলা বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। মতপ্রকাশের কারণে তাঁকে ১০০ দিনের বেশি আটকে রাখা হয়েছে এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাঁর এগুলোর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।