কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের কাছে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

‘উচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে’ এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি ওই ই-মেইল বার্তায়।

উপসাগরীয় দেশ কাতারে অবস্থিত ‘আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি, যেখানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সম্মুখ সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আরো পড়ুন:

‘ইরানে রেজিম চেঞ্জ হলে কে ক্ষমতায় বসবে, তা কেউ বলে দিতে পারে না’

যুদ্ধ কখনোই গণতন্ত্র নিয়ে আসে না: ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস

ইরানের পারমাণবিক স্থাাপনায় যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালানোর পর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে তেহরান। মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, বাহরাইনসহ দেশে দেশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি। ফলে সর্বত্র সতর্ক অবস্থা জারি করেছে পেন্টাগন। 

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল য ক তর ষ ট র অবস থ সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার কাছে সিসি ক্যামেরাসহ জাতীয় নির্বাচনের জন্য অর্থসহায়তা চেয়েছে জামায়াত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজের খরচের দায়িত্ব সরকারের। সেই হিসাবে সরকারকে সহযোগিতার জন্যই কানাডার কাছে এই আবেদন জামায়াতের।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং দলটির আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন। সেখানে কানাডাকে এ আহ্বান জানায় জামায়াত।

বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের জানান, ‘সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে মোটা অঙ্কের বাজেট দরকার। এ ব্যাপারে আমরা কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছি। (কানাডার) হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কানাডিয়ান হাইকমিশনার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তাদের জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার সংলাপে বসেছি।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো কানাডার হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে বলে জানান মো. তাহের। যেমন একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দুইবারের বেশি না রাখা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তাতে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তকরণ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ইত্যাদি।

ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির। তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকমিশনারকে জানিয়েছি, যদি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি। সরকারকে বলেছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা দরকার। আর কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের কনসার্ন অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছি।’

মো. তাহের বলেন, কানাডা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশা করা হয়।

বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ কয়েকজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ