এক যুগ আগে ‘তারে জমিন পার’এর মাধ্যমে দর্শকের চোখে জল এনে দিয়েছিলেন আমির খান। শিশুদের মনোজগৎ, সামাজিক বাস্তবতা ও মমতার গল্পে গড়া সেই সিনেমা হয়ে উঠেছিল যুগান্তকারী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারও এমন এক হৃদয়ছোঁয়া গল্প নিয়ে পর্দায় ফিরলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। নতুন সিনেমার নাম ‘সিতারে জমিন পার’।

মুক্তির আগেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ট্রেলার ও প্রোমোতেও আবেগের সুর বাজিয়ে দিয়েছিলেন আমির। তবে সব আশার মাঝেই মুক্তির প্রথম দিন ছিল কিছুটা হতাশাজনক। ১১ কোটির মতো সংগ্রহ করে শুরুটা করেছিল বেশ নরমভাবে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ফিরবেন কি আমির খান সেই চেনা জাদুতে?

কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই ছবিটা বদলে গেল। বক্স অফিসে দেখা গেল গতি। দ্বিতীয় দিনে আয় দাঁড়ায় ২১.

৫০ কোটিতে। তৃতীয় দিনে তা আরও বেড়ে গিয়ে ছুঁয়ে ফেলে ২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মুক্তির প্রথম তিন দিনেই ভারতের বক্স অফিসে ছবিটির মোট আয় দাঁড়ায় ৫৮.৯০ কোটি টাকা, যা ৯০ কোটি টাকার বাজেটের তুলনায় এক বিশাল সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়।

এই গতি অব্যাহত থাকলে প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি লাভের মুখ দেখতে পারে বলে ধারণা বক্স অফিস বিশ্লেষকদের।

শুধু আয়ের দিকেই নয়, দর্শক উপস্থিতির পরিসংখ্যানেও ধরা পড়ছে সিনেমাটির জনপ্রিয়তা। প্রথম দিনের সন্ধ্যা ও রাতের শোতে যেখানে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৪৩ ও ৫৬ শতাংশ, সেখানে তৃতীয় দিনে তা গিয়ে ঠেকেছে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। সিনেমাটির মানবিক বার্তা, আবেগঘন মুহূর্ত ও নিখুঁত নির্মাণ দর্শকদের মন জয় করতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে।

‘সিতারে জমিন পার’ পরিচালনা করেছেন আর. এস. প্রসন্ন। এটি একটি স্প্যানিশ সিনেমার অফিসিয়াল হিন্দি রিমেক। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কিছু বিশেষ শিশুর জীবন। যারা নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও খুঁজে পায় স্বপ্ন দেখার সাহস, আর সেই স্বপ্নের সঙ্গী হয়ে ওঠেন আমির খান। শিশুদের জীবনে বাস্কেটবল হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। আর একজন সহমর্মী প্রশিক্ষকের ভূমিকায় আমির যেন সেই আগের ‘ইশান’দের পৃথিবীতে নতুন আলো ছড়ান।

গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে আছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। যিনি নিজেও এই গল্পে নিয়ে এসেছেন আবেগ ও সংবেদনশীলতার পরশ। সমালোচকরা বলছেন, সিনেমাটির সবচেয়ে বড় শক্তি এর হৃদয়ছোঁয়া কাহিনি এবং মানবিক বার্তা। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র খ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ