৯০ কোটি বাজেটের ‘সিতারে জমিন পার’ তিন দিনেই ৬০ কোটির ঘরে
Published: 23rd, June 2025 GMT
এক যুগ আগে ‘তারে জমিন পার’এর মাধ্যমে দর্শকের চোখে জল এনে দিয়েছিলেন আমির খান। শিশুদের মনোজগৎ, সামাজিক বাস্তবতা ও মমতার গল্পে গড়া সেই সিনেমা হয়ে উঠেছিল যুগান্তকারী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারও এমন এক হৃদয়ছোঁয়া গল্প নিয়ে পর্দায় ফিরলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। নতুন সিনেমার নাম ‘সিতারে জমিন পার’।
মুক্তির আগেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ট্রেলার ও প্রোমোতেও আবেগের সুর বাজিয়ে দিয়েছিলেন আমির। তবে সব আশার মাঝেই মুক্তির প্রথম দিন ছিল কিছুটা হতাশাজনক। ১১ কোটির মতো সংগ্রহ করে শুরুটা করেছিল বেশ নরমভাবে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ফিরবেন কি আমির খান সেই চেনা জাদুতে?
কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই ছবিটা বদলে গেল। বক্স অফিসে দেখা গেল গতি। দ্বিতীয় দিনে আয় দাঁড়ায় ২১.
এই গতি অব্যাহত থাকলে প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি লাভের মুখ দেখতে পারে বলে ধারণা বক্স অফিস বিশ্লেষকদের।
শুধু আয়ের দিকেই নয়, দর্শক উপস্থিতির পরিসংখ্যানেও ধরা পড়ছে সিনেমাটির জনপ্রিয়তা। প্রথম দিনের সন্ধ্যা ও রাতের শোতে যেখানে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৪৩ ও ৫৬ শতাংশ, সেখানে তৃতীয় দিনে তা গিয়ে ঠেকেছে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। সিনেমাটির মানবিক বার্তা, আবেগঘন মুহূর্ত ও নিখুঁত নির্মাণ দর্শকদের মন জয় করতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে।
‘সিতারে জমিন পার’ পরিচালনা করেছেন আর. এস. প্রসন্ন। এটি একটি স্প্যানিশ সিনেমার অফিসিয়াল হিন্দি রিমেক। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কিছু বিশেষ শিশুর জীবন। যারা নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও খুঁজে পায় স্বপ্ন দেখার সাহস, আর সেই স্বপ্নের সঙ্গী হয়ে ওঠেন আমির খান। শিশুদের জীবনে বাস্কেটবল হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। আর একজন সহমর্মী প্রশিক্ষকের ভূমিকায় আমির যেন সেই আগের ‘ইশান’দের পৃথিবীতে নতুন আলো ছড়ান।
গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে আছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। যিনি নিজেও এই গল্পে নিয়ে এসেছেন আবেগ ও সংবেদনশীলতার পরশ। সমালোচকরা বলছেন, সিনেমাটির সবচেয়ে বড় শক্তি এর হৃদয়ছোঁয়া কাহিনি এবং মানবিক বার্তা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক