গ্রিসে ফের দাবানল, বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান
Published: 23rd, June 2025 GMT
গ্রিসে ফের দাবানলের পরিপ্রেক্ষিতে চিওস আইল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাস এক জরুরি সতর্কবার্তায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, গ্রিসের উত্তরে অবস্থিত চিওস আইল্যান্ডে গত ২২ জুন ভয়াবহ দাবানল শুরু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে। দাবানলের আগুন আশেপাশের কয়েকটি অঞ্চল ও এ দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৬টি গ্রাম ও জনবসতি নিরাপত্তার স্বার্থে খালি করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রেস্তা এলাকায় ১১২ জরুরি নম্বরের মাধ্যমে আরও একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল
ভয়াবহ দাবানলের হুমকিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬০ লাখের বেশি মানুষ
বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। চিওস আইল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করুন এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করুন।
জরুরি প্রয়োজনে +৩০৬৯৪৫০৪৪০৫৪ নম্বর অথবা দূতাবাসের ই-মেইল এড্রেস [email protected] এ যোগাযোগ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ