কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা মোটেও কম নয়। পানিশূন্যতা, ভোজ্য আঁশের অভাব, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ ইত্যাদিসহ আরও অসংখ্য কারণ রয়েছে এই সমস্যার পেছনে। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের ব্যথা উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ এগুলো ডায়াবেটিস অথবা কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা অনিয়মিত মলত্যাগ অস্বস্তিকর। এর ফলে ক্ষুধা হারিয়ে যায়, বমি বমি ভাব অনুভব হয়, পেটে ব্যথা হয়। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক কারণ। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যর চিকিৎসা সময়মতো না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে
আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণে যখন অস্বস্তিতে ভুগছেন তখন এমন কিছু নিশ্চয়ই করতে চাইবেন না; যা সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে খাওয়া-দাওয়ায় বড়সড় একটা পরিবর্তন আনতে হয়। কারণ এই রোগ থাকলে চাইলেও সবকিছু খাওয়া যায় না। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে খাওয়া-দাওয়ায় বড়সড় একটা পরিবর্তন আনতে হয়। কারণ এই রোগে চাইলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। তাতে সমস্যা দ্বিগুণ হয়। বরং এমন কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা, যেগুলো পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না, কী খাবেন আর কী খাবেন না। সম্প্রতি চিকিৎসকরা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে পেঁপে এবং কুমড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এত বিকল্প থাকতে এই দুটি সবজির ওপরই কেন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে?
পেঁপেতে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ডায়েটারি ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ হতে পারে। এ ছাড়া পেঁপেতে থাকা ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচক পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেঁপেতে জলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। পেঁপেতে ফাইবার যেহেতু উচ্চ মাত্রায় থাকে, তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও পেঁপে বেশ উপকারী। পেঁপেতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ২৭ গ্রাম। ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি এড়াতেও পেঁপে কার্যকর।
পেঁপের পাশাপাশি কুমড়াও সমান উপকারী কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য। এই সবজিতে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার এবং ভরপুর জল। শরীরে জলের ঘাটতি দূর করা থেকে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা– কুমড়া খুবই স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। দীর্ঘদিন যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা অনায়াসে দৈনিক পাতে কুমড়া রাখতে পারেন। v।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দীপিকার লিভারের ২২ শতাংশ কেটে ফেলা হয়েছে
হিন্দি টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ দীপিকা কাক্কর লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার লিভারের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। ভারতী সিং ও তার স্বামী সঞ্চালিত পডকাস্টে হাজির হয়ে এসব তথ্য জানান দীপিকা।
এ বিষয়ে দীপিকা কাক্কর বলেন, “আমার শরীর থেকে প্রায় ১১ সেন্টিমিটার আকারের একটি টিউমার অপসারণ করা হয়েছে, যা লিভারের প্রায় ২২ শতাংশ।”
আরো পড়ুন:
বয়স্করা প্রেমের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতে বেশি পারদর্শী: টুইঙ্কেল
ডিভোর্সের গুঞ্জনের মাঝে হাসপাতালে মাহি
বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, “নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবারো এফএপিআই স্ক্যান করাব। এফএপিআই স্ক্যান অনেকটা সিটি স্ক্যানের মতো। তবে এটি বিশেষভাবে শরীরে ক্যানসারের কোষ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা শুরু করার আগে ক্যানসার কতটা ছড়িয়েছে তা বুঝতে এটি সাহায্য করে।”
ক্যানসারের সেল শুধু টিউমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, তার শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে ছড়ায়নি। ক্যানসারযুক্ত অংশটি লিভারের সঙ্গে অপসারণ করা হয়েছে। মূলত, এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয় বলে জানান দীপিকা।
দীপিকার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ তার জীবনযাপন অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এ বিষয়ে দীপিকা বলেন, “স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরও কীভাবে আমার ক্যানসার হয়েছে, তার উত্তর চিকিৎসকরা দিতে পারেননি।”
ইউনিভার্সিটি অব মুম্বাই থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে বিমানবালা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন দীপিকা কাক্কর। অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ বছর পর এ চাকরি ছেড়ে দেন। ২০১০ সালে অভিনয়ে পা রাখেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিনয়ে খ্যাতি কুড়ান এই অভিনেত্রী।
২০১১ সালে রওনক নামে একজনকে বিয়ে করেন দীপিকা। ২০১৫ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ২০১৮ সালে সহঅভিনেতা শোয়েব ইব্রাহিমকে বিয়ে করেন দীপিকা। ২০২৩ সালের ২১ জুন পুত্রসন্তানের মা হন দীপিকা।
ঢাকা/শান্ত