দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। এটি কেবল একটি প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও নগদবিহীন সমাজ গঠনের পথে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক জমকালো আয়োজনে ‘গুগল পে’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন ও সিটি ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ।

আরো পড়ুন:

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করল গুগল

ভারতের ২২ লাখের বেশি ভিডিও সরাল ইউটিউব

এই ডিজিটাল সেবাটি চালু করেছে গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহযোগিতায় সিটি ব্যাংক পিএলসি। এখন থেকে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা তাঁদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড গুগল ওয়ালেটে সংযুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে স্পর্শবিহীন, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন এখন একটি স্মার্টফোনেই সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “লেনদেন ডিজিটাল হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। এতে নগদ অর্থবিহীন সমাজ গঠনের পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিও ত্বরান্বিত হবে।”

প্রযুক্তি ও অর্থনীতির যুগল সংযোগ

গুগল পে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বহু দেশে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্ল্যাটফর্মটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড সংযুক্ত করে দ্রুত লেনদেনের সুযোগ দেয়। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তির আগমন এমন সময়ে ঘটল, যখন মোবাইল ব্যাংকিং, ফিনটেক এবং ই-কমার্স দ্রুত বর্ধনশীল।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “আমরা আজ এমন এক সময় দাঁড়িয়েছি, যখন মানিব্যাগের প্রয়োজন নেই। স্মার্টফোনই এখনকার ডিজিটাল ওয়ালেট। দেশে–বিদেশে লেনদেন করা যাবে একটি মাত্র টাচেই।”

সরকারের অবস্থান: আর্থিক ক্ষমতায়নের পথে

প্রযুক্তি ও যুব বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণকে আর্থিকভাবে ক্ষমতায়ন করা। গুগল পে চালু হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম, উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক জনগণ আরো সহজে ডিজিটাল সেবার আওতায় আসবে। এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এক মাইলফলক।”

তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সহায়তা ও সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো নিশ্চিত করা হয়েছে।

চলমান ইকোসিস্টেমে এক নতুন সংযোজন

বাংলাদেশে আগে থেকেই বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় প্রভৃতি এমএফএস সেবা রয়েছে। তবে গুগল পে এর মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের আগমন প্রতিযোগিতা ও মান উন্নয়নের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মার্কেটিং, গেমিং এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশাজীবীদের অর্থ গ্রহণে এটি বিশাল ভূমিকা রাখবে। পেপ্যাল না থাকায় এতদিন সীমাবদ্ধতা ছিল, গুগল পে সে ঘাটতি পূরণ করতে পারে।”

যেভাবে কাজ করবে গুগল পে

গুগল পে একটি নেয়ার ফিল্ড কমুনিকেশন (এনএফসি) এবং কিউআর-ভিত্তিক পেমেন্ট প্রযুক্তি। গ্রাহক তাদের ফোনে গুগল ওয়ালেট ইনস্টল করে ব্যাংক কার্ড যুক্ত করতে পারবেন। তারপর এনএফসি সক্রিয় টার্মিনালে ফোন স্পর্শ করেই লেনদেন সম্ভব হবে।

এতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি, যা গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ভবিষ্যতে গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইডি কার্ড, টিকিট, লয়ালটি কার্ড সংরক্ষণ করাও সম্ভব হবে।

চ্যালেঞ্জ: নিরাপত্তা ও সচেতনতা

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু চ্যালেঞ্জও সামনে রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম, সাইবার নিরাপত্তা। বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল পেমেন্টে হ্যাকিং ও প্রতারণার ঝুঁকি থাকায় এটি প্রতিরোধে প্রযুক্তি ও আইনশৃঙ্খলা উভয় পক্ষকে সক্রিয় থাকতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তিগত সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রবীণ ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল লেনদেন বিষয়ে আস্থা অর্জন করানোও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব বলেন, “নিরাপত্তা ও সচেতনতা- এ দুই দিকেই সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করছে। শুরু থেকেই গুগল পে যেন সুরক্ষিত ও ব্যবহারবান্ধব হয়, সেটাই নিশ্চিত করছি।”

উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা যারা বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে লেনদেন করতেন, তাদের জন্য গুগল পে আরো সহজ ও আধুনিক অপশন হিসেবে সামনে আসবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকেও পেমেন্ট গ্রহণ সম্ভব হলে এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

গ্রাফিক ডিজাইনার আনিসুর রহমান বলেন, “আমার অনেক বিদেশি ক্লায়েন্ট গুগল পে চায়। এতদিন পেপ্যাল না থাকায় লেনদেন আটকে যেত। গুগল পে এলে আমার ব্যবসা অনেক সহজ হবে।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গুগল ওয়ালেট সেবার মাধ্যমে কেবল লেনদেনই নয়, বরং ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল আইডেন্টিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের। এতে নাগরিকদের ডিজিটাল পরিচয়, পরিবহন টিকিট, এবং সরকারি সেবায় প্রবেশাধিকার সহজ হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জহির উদ্দীন বলেন, “গুগল পে এর আনুষ্ঠানিক আগমন বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার একটি বড় মাইলফলক। এটি কেবল একটি নতুন প্রযুক্তি নয়, বরং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, স্বচ্ছতা ও দ্রুত লেনদেনের যুগে এক সাহসী পদক্ষেপ। সরকারের সহায়তা, বেসরকারি খাতের আগ্রহ ও জনগণের অংশগ্রহণ এই ত্রিমাত্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গুগল পে হয়ে উঠতে পারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের আর্থিক ভিত্তি।”

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ গল উদ য ক ত ব যবহ র ল নদ ন গ গল প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে গুগল পে: ডিজিটাল লেনদেনের যুগে এক নতুন দিগন্ত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। এটি কেবল একটি প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও নগদবিহীন সমাজ গঠনের পথে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক জমকালো আয়োজনে ‘গুগল পে’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন ও সিটি ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ।

আরো পড়ুন:

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করল গুগল

ভারতের ২২ লাখের বেশি ভিডিও সরাল ইউটিউব

এই ডিজিটাল সেবাটি চালু করেছে গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহযোগিতায় সিটি ব্যাংক পিএলসি। এখন থেকে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা তাঁদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড গুগল ওয়ালেটে সংযুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে স্পর্শবিহীন, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন এখন একটি স্মার্টফোনেই সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “লেনদেন ডিজিটাল হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। এতে নগদ অর্থবিহীন সমাজ গঠনের পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিও ত্বরান্বিত হবে।”

প্রযুক্তি ও অর্থনীতির যুগল সংযোগ

গুগল পে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বহু দেশে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্ল্যাটফর্মটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড সংযুক্ত করে দ্রুত লেনদেনের সুযোগ দেয়। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তির আগমন এমন সময়ে ঘটল, যখন মোবাইল ব্যাংকিং, ফিনটেক এবং ই-কমার্স দ্রুত বর্ধনশীল।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “আমরা আজ এমন এক সময় দাঁড়িয়েছি, যখন মানিব্যাগের প্রয়োজন নেই। স্মার্টফোনই এখনকার ডিজিটাল ওয়ালেট। দেশে–বিদেশে লেনদেন করা যাবে একটি মাত্র টাচেই।”

সরকারের অবস্থান: আর্থিক ক্ষমতায়নের পথে

প্রযুক্তি ও যুব বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণকে আর্থিকভাবে ক্ষমতায়ন করা। গুগল পে চালু হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম, উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক জনগণ আরো সহজে ডিজিটাল সেবার আওতায় আসবে। এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এক মাইলফলক।”

তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সহায়তা ও সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো নিশ্চিত করা হয়েছে।

চলমান ইকোসিস্টেমে এক নতুন সংযোজন

বাংলাদেশে আগে থেকেই বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় প্রভৃতি এমএফএস সেবা রয়েছে। তবে গুগল পে এর মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের আগমন প্রতিযোগিতা ও মান উন্নয়নের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মার্কেটিং, গেমিং এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশাজীবীদের অর্থ গ্রহণে এটি বিশাল ভূমিকা রাখবে। পেপ্যাল না থাকায় এতদিন সীমাবদ্ধতা ছিল, গুগল পে সে ঘাটতি পূরণ করতে পারে।”

যেভাবে কাজ করবে গুগল পে

গুগল পে একটি নেয়ার ফিল্ড কমুনিকেশন (এনএফসি) এবং কিউআর-ভিত্তিক পেমেন্ট প্রযুক্তি। গ্রাহক তাদের ফোনে গুগল ওয়ালেট ইনস্টল করে ব্যাংক কার্ড যুক্ত করতে পারবেন। তারপর এনএফসি সক্রিয় টার্মিনালে ফোন স্পর্শ করেই লেনদেন সম্ভব হবে।

এতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি, যা গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ভবিষ্যতে গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইডি কার্ড, টিকিট, লয়ালটি কার্ড সংরক্ষণ করাও সম্ভব হবে।

চ্যালেঞ্জ: নিরাপত্তা ও সচেতনতা

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু চ্যালেঞ্জও সামনে রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম, সাইবার নিরাপত্তা। বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল পেমেন্টে হ্যাকিং ও প্রতারণার ঝুঁকি থাকায় এটি প্রতিরোধে প্রযুক্তি ও আইনশৃঙ্খলা উভয় পক্ষকে সক্রিয় থাকতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তিগত সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রবীণ ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল লেনদেন বিষয়ে আস্থা অর্জন করানোও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব বলেন, “নিরাপত্তা ও সচেতনতা- এ দুই দিকেই সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করছে। শুরু থেকেই গুগল পে যেন সুরক্ষিত ও ব্যবহারবান্ধব হয়, সেটাই নিশ্চিত করছি।”

উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা যারা বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে লেনদেন করতেন, তাদের জন্য গুগল পে আরো সহজ ও আধুনিক অপশন হিসেবে সামনে আসবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকেও পেমেন্ট গ্রহণ সম্ভব হলে এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

গ্রাফিক ডিজাইনার আনিসুর রহমান বলেন, “আমার অনেক বিদেশি ক্লায়েন্ট গুগল পে চায়। এতদিন পেপ্যাল না থাকায় লেনদেন আটকে যেত। গুগল পে এলে আমার ব্যবসা অনেক সহজ হবে।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গুগল ওয়ালেট সেবার মাধ্যমে কেবল লেনদেনই নয়, বরং ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল আইডেন্টিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের। এতে নাগরিকদের ডিজিটাল পরিচয়, পরিবহন টিকিট, এবং সরকারি সেবায় প্রবেশাধিকার সহজ হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জহির উদ্দীন বলেন, “গুগল পে এর আনুষ্ঠানিক আগমন বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার একটি বড় মাইলফলক। এটি কেবল একটি নতুন প্রযুক্তি নয়, বরং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, স্বচ্ছতা ও দ্রুত লেনদেনের যুগে এক সাহসী পদক্ষেপ। সরকারের সহায়তা, বেসরকারি খাতের আগ্রহ ও জনগণের অংশগ্রহণ এই ত্রিমাত্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গুগল পে হয়ে উঠতে পারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের আর্থিক ভিত্তি।”

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ