সি চিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ যুগান্তকারী, চীনকে বিএনপি
Published: 24th, June 2025 GMT
চীন সফররত বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লি জিয়াং ঝাও। তিনি এক চীন নীতির ব্যাপারে বিএনপির সুস্পষ্ট অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সফররত বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপে লি জিয়াং ঝাও এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে রাতে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
লি জিয়াং ঝাওয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন তথা বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও জনকল্যাণে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) যুগান্তকারী ও অবিশ্বাস্য। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানানো হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান–সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের অধিকতর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
পরে বিএনপির প্রতিনিধি দল তাদের সম্মানে সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়ানের আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
গত সোমবার থেকে চীন সফরে রয়েছে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা.
গতকাল চীন সফরের দ্বিতীয় দিন পার করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এদিন সকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
সফরের প্রথম দিন সোমবার চীনের পিপলস গ্রেট হলে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাড়িতে ‘নায়ক আলমগীর’কে আবিষ্কারের গল্প
চলচ্চিত্র ৫৩ বছর পার হতে চলল চিত্রনায়ক আলমগীরের। এখন অবশ্য অভিনয়ের চেয়ে নিজের ব্যবসায় বেশি সময় দিয়ে থাকেন। তবে চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট কাজে তাঁর উপস্থিতি থাকে ঠিকই। চলচ্চিত্রে ৫৩ বছর পার করে আসা এই নায়কের শুরুটা একটু অন্য রকম। পরিচালক তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছিলেন, এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানালেন আলমগীরের সংগীতশিল্পী মেয়ে আঁখি আলমগীর। নিজেদের পুরোনো বাড়ির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বাবার নায়ক হওয়ার গল্পটাও জানিয়ে দিলেন আঁখি।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চিত্রনায়ক আলমগীরের। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। ছবিতে আরও অভিনয় করেন রাজ্জাক, কবরী, সুমিতা দেবী প্রমুখ। আলমগীরের বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’–এর অন্যতম প্রযোজক। ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন আলমগীর। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওয়ার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। পরিচালক হিসেবেও পরিচিত তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম ‘নিষ্পাপ’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা হচ্ছে ‘একটি সিনেমার গল্প’।
চিত্রনায়ক বাবা আলমগীরের সঙ্গে দুই মেয়ে আঁখি আলমগীর ও মেহরুবা আহমেদ তুলতুল এবং ছেলে তাসভীর আহমেদ