বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চীন অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এ সফরের জন্য চীনের কমিনিউস্ট পার্টির আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। আমাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, পার্টি টু পার্টি দুই বছরে একবার পলিটিক্যাল ডায়ালগ আয়োজন হবে। এটা এই সফরে একটা বড় সফলতা। এর মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে বিএনপির অভূতপূর্ব সম্পর্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে। চীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেবে। একই সঙ্গে তারা বলেছে, উন্নয়নের সঙ্গে জনগণকেই যেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।’

চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহায়তা অব্যাহত রাখা, বাণিজ্য অসমতা দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণসহ আধুনিক প্রযুক্তি, কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাঈল জবিউল্লাহ্, অধ্যাপক ড.

সুকোমল বড়ুয়া, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

এর আগে গত সোমবার দেড় ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও কীভাবে দৃঢ় করা যায়, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। চীন সফররত বিএনপি প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য জানান, বৈঠকে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশটি সফরে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিএনপি প্রতিনিধি দলের ২৮ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক

ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।

জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আঁখির অতিথি সৈয়দ আবদুল হাদী
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • কাশিপুরে বিএনপি নেতা আলমগীর ও সাইদুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
  • হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে
  • স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক