নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় চীন: মির্জা ফখরুল
Published: 25th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চীন অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এ সফরের জন্য চীনের কমিনিউস্ট পার্টির আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। আমাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, পার্টি টু পার্টি দুই বছরে একবার পলিটিক্যাল ডায়ালগ আয়োজন হবে। এটা এই সফরে একটা বড় সফলতা। এর মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে বিএনপির অভূতপূর্ব সম্পর্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে। চীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেবে। একই সঙ্গে তারা বলেছে, উন্নয়নের সঙ্গে জনগণকেই যেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহায়তা অব্যাহত রাখা, বাণিজ্য অসমতা দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণসহ আধুনিক প্রযুক্তি, কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাঈল জবিউল্লাহ্, অধ্যাপক ড.
এর আগে গত সোমবার দেড় ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও কীভাবে দৃঢ় করা যায়, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। চীন সফররত বিএনপি প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য জানান, বৈঠকে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশটি সফরে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিএনপি প্রতিনিধি দলের ২৮ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাড়িতে ‘নায়ক আলমগীর’কে আবিষ্কারের গল্প
চলচ্চিত্র ৫৩ বছর পার হতে চলল চিত্রনায়ক আলমগীরের। এখন অবশ্য অভিনয়ের চেয়ে নিজের ব্যবসায় বেশি সময় দিয়ে থাকেন। তবে চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট কাজে তাঁর উপস্থিতি থাকে ঠিকই। চলচ্চিত্রে ৫৩ বছর পার করে আসা এই নায়কের শুরুটা একটু অন্য রকম। পরিচালক তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছিলেন, এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানালেন আলমগীরের সংগীতশিল্পী মেয়ে আঁখি আলমগীর। নিজেদের পুরোনো বাড়ির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বাবার নায়ক হওয়ার গল্পটাও জানিয়ে দিলেন আঁখি।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চিত্রনায়ক আলমগীরের। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। ছবিতে আরও অভিনয় করেন রাজ্জাক, কবরী, সুমিতা দেবী প্রমুখ। আলমগীরের বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’–এর অন্যতম প্রযোজক। ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন আলমগীর। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওয়ার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। পরিচালক হিসেবেও পরিচিত তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম ‘নিষ্পাপ’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা হচ্ছে ‘একটি সিনেমার গল্প’।
চিত্রনায়ক বাবা আলমগীরের সঙ্গে দুই মেয়ে আঁখি আলমগীর ও মেহরুবা আহমেদ তুলতুল এবং ছেলে তাসভীর আহমেদ