Samakal:
2025-11-17@10:12:06 GMT

ইতিহাস গড়লেন জোহরান মমদানি

Published: 26th, June 2025 GMT

ইতিহাস গড়লেন জোহরান মমদানি

টানা কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে বড় জয় পেয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট নেতা জোহরান মমদানি। প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো পরাজয় স্বীকার করে তাঁকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আজ রাত তাঁর, তিনি জিতেছেন।’

যদিও চূড়ান্ত ফল আসতে আরও সময় লাগবে, তবুও প্রথম পছন্দের ভোটে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন মমদানি। নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনী বোর্ড জানিয়েছে, দুই লাখের বেশি ভোটার কেবল একজন প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন, যার অর্থ হলো, মমদানির হাতেই বিজয়ের চাবিকাঠি।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এপি বলেছে, এই নির্বাচনী ফল শুধু মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ পথচলার দিকও নির্দেশ করছে। চার বছর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগে গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করা কুওমো রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছিলেন। মমদানির প্রবল উত্থান সেই প্রত্যাবর্তনের পথে কার্যত প্রাচীর হয়ে দাঁড়াল।

মাত্র এক বছর আগেও যিনি মূলত রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরেই ছিলেন, সেই মমদানি আজ নিউইয়র্কের আলোচিত নাম। হাইভোল্টেজ এই প্রচারণায় তাঁর পোস্টার ছেয়ে গেছে দোকানপাটে, বিলবোর্ডে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভিডিও যেন সর্বত্র। ‘ফ্রি বাস, ফ্রি চাইল্ড কেয়ার, সাশ্রয়ী আবাসন, উচ্চতর ন্যূনতম মজুরি—সবকিছুই ধনীদের ওপর নতুন কর বসিয়ে সম্ভব,’ বলেছিলেন তিনি। তরুণ ভোটারদের এক বিশাল ঢেউ ছিল তাঁর পক্ষে।

‘আজ রাত ইতিহাসের রাত,’ সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন মমদানি। নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায়, এটি সবসময় অসম্ভবই মনে হয়, যতক্ষণ না তা বাস্তবে ঘটে। আমরা করে দেখিয়েছি।’

ব্রুকলিনের কেন্দ্রে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ক্যাম্পেইনের স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় রাস্তায় নাচছিলেন, হাতে ছিল মমদানির পোস্টার। স্থানীয় এক তরুণী বলছিলেন, ‘শহরটা আবার বেঁচে উঠেছে। এটি একটি বিদ্যুৎ ছড়ানো অনুভূতি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন উইয র ক

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করেন মনোনয়নবঞ্চিত এক প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকেরা।

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জোহা খানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী।

খাজা নাজিবুল্লাহর সমর্থকেরা বেলা ১১টার দিকে নজিপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় নওগাঁ-নজিপুর সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেন। এ কর্মসূচিতে পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা থেকে আসা নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এতে অংশ নেন। মানববন্ধনের আগে জিরো পয়েন্ট এলাকায় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিতর্কিত ব্যক্তি সামসুজ্জোহা খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের সময়ে হরতালসহ বিভিন্ন আন্দোলনে খাজা নাজিবুল্লাহর নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিলেন। তাঁরা নওগাঁ-২ আসনে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে খাজা নাজিবুল্লাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানান।

নজিপুরের সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, নাজিবুল্লাহ ত্যাগী, পরীক্ষিত ও বারবার কারা নির্যাতিত নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই পত্নীতলা ও ধামইরহাট বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। অথচ তৃণমূলের মতামত অগ্রাহ্য করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে। খাজা নাজিবুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে তৃণমূল বিএনপি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

ধামইরহাট উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগবিরোধী সব আন্দোলনে যাঁরা মাঠে সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা সবাই খাজা নাজিবুল্লাহর পক্ষে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হোক—এটি শুধু বিএনপির নেতা–কর্মীদের চাওয়া নয়, দুই উপজেলার সব মানুষের চাওয়া। তাই এখানে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে আহ্বান জানাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সামসুজ্জোহা খান বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’

মনোনয়নবঞ্চিত খাজা নাজিবুল্লাহ বলেন, ‘সব আন্দোলন–সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। দুর্দিনে তৃণমূল নেতাদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। আমরা কেউ দলের ঊর্ধ্বে নই। দলের জন্য কাজ করছি। পুনর্বিবেচনা হলে মনোনয়ন পেতে পারি। দলই সবার আগে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য রেজাউল ইসলাম, ধামইরহাট মহিলা দলের সহসভাপতি নাহিদা সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ধামইরহাট শাখার আহ্বায়ক রকিবুল হাসান, পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আবু তাহের প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ