ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রতিদিন দলে দলে নিহতের ঘটনা বিশ্বের জন্য মহাকলঙ্কের চেয়ে কম কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের একজন বিশেষজ্ঞ।

গত এক মাসে গাজায় ত্রাণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা ‘একটি মর্মান্তিক ঘটন ‘ এবং বৈশ্বিক ‘কলঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন ইস্তাম্বুল জায়েম ইউনিভার্সিটির ইসলাম অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স সেন্টারের পরিচালক আল-আরিয়ান।

ইস্তাম্বুল থেকে আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল-আরিয়ান বলেছেন “একে নিয়মিত ঘটনা হিসেবে কল্পনাও করা কঠিন।”

আরো পড়ুন:

সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলাকেটে হত্যা, বাবা ছুরিকাহত

গাজীপুরে গৃহবধূ খুন, অভিযুক্ত পলাতক  

“শুধু একটু খাবার পাওয়ার আশায় মানুষ (ফিলিস্তিনিরা) প্রতিদিন সেসব জায়গায় যায়, যাতে তারা তাদের অনাহারে কষ্ট পাওয়া সন্তানদের কিছু খাওয়াতে পারে। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে হত্যার শিকার হচ্ছে, আহত হচ্ছে। এমন জায়গা সেগুলো (ত্রাণবিতরণ কেন্দ্র) যেখানে চিকিৎসার জন্য কোনো কেন্দ্র পর্যন্ত নেই।”

আল-আরিয়ান বলেন, “এই পরিস্থিতি বিশ্বের জন্য মহাকলঙ্কের চেয়ে কম কিছু নয়।”

তিনি বলেন, “কেউ যদি বলেন, এটি একটি খাদ্য বিতরণকেন্দ্র, তাহলে কীভাবে প্রতিদিন ফিলিস্তিনিরা শুধু আহত নয়, নিহতও হচ্ছে? এটা যুক্তিসঙ্গতভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না।”

ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিন নিহত হচ্ছে গাজার ফিলিস্তিনিরা। বোমা, গুলির পাশাপাশি ত্রাণকেন্দ্রে প্রতিদিন হামলা হচ্ছে। ত্রাণ পেতে মরিয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার গুলি চালানো হচ্ছে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, ত্রাণকেন্দ্রে লুটপাট করছে তারা। অনাহারি ফিলিস্তিনিদের খাদ্যের কষ্ট এতটা তীব্রতর হয়ে উঠেছে যে, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। 

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য গণহত য ইসর য় ল র জন য কলঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ