কেএমপি কমিশনারকে সরাতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা, খুলনা অচলের হুঁশিয়ারি
Published: 26th, June 2025 GMT
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণে আজ বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে খুলনা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এরপর কেএমপির সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা।
এর আগে আজ বিকেল থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এ সময় কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবারও একই দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আজ রাত সোয়া ৮টার দিকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও খুলনা জেলার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম (বাপ্পি) বলেন, ‘খুলনায় খুনি লীগের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছেন কেএমপি কমিশনার। তাঁর পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না, ঘরেও ফিরব না। খুলনার মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্য জুলফিকার আলী হায়দারকে কেএমপির কমিশনারের চেয়ারে দেখতে চায় না।’
সাজিদুল আরও বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আলটিমেটাম দিতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার সুরাহা করা না হলে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে খুলনা অচল করে দেওয়া হবে।’
এ ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই মাঠ ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধ জানান সাজিদুল ইসলাম। এরপর আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। রাত পৌনে নয়টার দিকে কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকের তালা খুলে দেন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
নেই মেসি, হারল মায়ামি
লিওনেল মেসিকে ছাড়াই মাঠে নেমে দুঃস্বপ্নের রাত কাটাল ইন্টার মায়ামি। ইনজুরিতে সেরা তারকাকে হারানো দলটি অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় হারে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকালে।
ম্যাচের আগে কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো নিশ্চিত করেছিলেন, মেক্সিকোর নিকাক্সার বিপক্ষে লিগস কাপে পাওয়া চোটের কারণে মেসি এই ম্যাচে থাকছেন না। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনো তাজা। চেজ স্টেডিয়ামে ড্রিবলিংয়ের সময় রাউল সানচেজ ও আলেক্সিস পেনারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান মেসি। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও অস্বস্তি দূর না হওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর থেকেই মায়ামিকে খেলতে হচ্ছে তাদের গোলমুখের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছাড়াই।
মেসিকে ছাড়া পুমাসের বিপক্ষে জিতলেও (৩-১) অরল্যান্ডোর মাঠে সেই ধার আর টিকিয়ে রাখতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ২ মিনিটে লুইস মুরিয়েলের গোলে এগিয়ে যায় অরল্যান্ডো। যদিও ৩ মিনিট পরই ইয়ানিক ব্রাইটের গোল মায়ামিকে সমতায় ফেরায়। বিরতিতে ১-১ স্কোরলাইন থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় মায়ামির দুঃখগাথা।
আরো পড়ুন:
ডি পল-সুয়ারেজে কোয়ার্টার ফাইনালে মেসিহীন মায়ামি
অবশেষে সংশয়ই সত্যি হলো, মাঠের বাইরে মেসি
৫০ মিনিটে মুরিয়েল তার দ্বিতীয় গোল করে অরল্যান্ডোকে আবারও এগিয়ে দেন। এরপর ৫৮ মিনিটে মার্টিন ওজেদার দূরপাল্লার শট মায়ামির জালে জড়িয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে, ৮৮ মিনিটে মার্কো প্যাসালিচের গোল ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে দেয় অরল্যান্ডো সিটি।
এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে অরল্যান্ডো। অন্যদিকে ২৩ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট পাওয়া মায়ামি নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে।
মেসি কবে ফিরবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তার অনুপস্থিতি যে মায়ামির জন্য বড় ধাক্কা, অরল্যান্ডো ম্যাচই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
ঢাকা/আমিনুল