যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেলপথ
Published: 27th, June 2025 GMT
প্রমত্তা যমুনার বুক চিরে নির্মিত যমুনা সেতুর উপরের রেলসেতুর রেলপথ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেতুর প্রস্থ বাড়াতে পরিত্যক্ত রেলপথের নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে সেতু বিভাগ।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে যমুনা সেতুর টাঙ্গাইলের অংশ থেকে রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়।
জানা যায়, এপ্রিলের শুরুতে যমুনা সেতু সড়কে পরিত্যক্ত রেলপথটির অপসারণ চেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সেতু বিভাগে পৃথক দুটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অপসারণের কাজ শুরু হয়। এ কাজ শেষ হলে সমুদয় মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো, প্রমত্তা যমুনা নদীর উপরে রেল সেতু চালু হওয়ায় পুরাতন সেতুর রেলপথ এখন পরিত্যক্ত। এজন্য সেতুর সড়ক প্রশস্ত করতে রেলপথটি অপসারণ প্রয়োজন। কারণ সেতুর এক লেন সড়কের মাপ সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৩ মিটার। কিন্তু এই সেতুর একটি লেনের মাপ ৬ দশমিক ৩ মিটার।
ফলে ঈদে গাড়ির চাপ বাড়লে সেতুর ওপর দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। অথচ সেতুর প্রস্থ অংশে পরিত্যক্ত ও অবহেলায় পড়ে আছে সাড়ে ৩ মিটার। এটি অপসারণ করা হলে সেতুর দুটি লেন আরও প্রশস্ত করা সম্ভব হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা নদীতে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মধ্যে ৪.
এর প্রেক্ষিতে সরকার তাৎক্ষনিকভাবে যমুনা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা দেয়। বিদ্যমান সড়ক সেতুর উত্তরপাশ দিয়ে লোহার এঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। দ্রুত গতিতে ট্রেন চলাচলের কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। পরে ট্রেন চলাচলের গতিসীমা করা হয় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
এতে একটি ট্রেনকে সেতু পার হতে ২২ মিনিট সময় লাগে। এ কারণে সেতুর দুই প্রান্তে ট্রেনের জট বেঁধে যায়। এই সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালে যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে সমান্তরাল পৃথক রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
জাইকার অর্থায়নে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতু। গত ১৮ মার্চ থেকে রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে পুরাতন যমুনা সেতুর রেললাইন সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নেয় সেতু বিভাগ। একারণে সেতুর উপর থেকে রেললাইন সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে যমুনা রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, সেতু বিভাগ রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে সমুদয় মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেতু কর্তৃপক্ষ সড়ক সেতু বর্ধিত করার জন্যই রেললাইন সরিয়ে ফেলছেন।
ঢাকা/অদিত্য/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লস ত র লপথ
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২২৪ আসন বরাদ্দ
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২২৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২২৪ আসনের মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১৮৪ এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৫টি সার্ক দেশগুলোর জন্য এবং ৯৯টি আসন নন-সার্ক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। সার্ক ও নন-সার্ক কোটা সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। নন-সার্ক কোটা সংরক্ষিত আসনে কোনো সার্ক দেশের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৪ ঘণ্টা আগেসার্ক দেশের আসন বণ্টনে ভারতের জন্য এমবিবিএসে ২২ ও বিডিএসে ২টি, পাকিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ২১টি ও বিডিএসে ২টি, নেপালের জন্য এমবিবিএসে ১৯ ও বিডিএসে ৩টি, শ্রীলঙ্কার জন্য এমবিবিএসে ১৩ ও বিডিএসে ২টি, ভুটানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি, মালদ্বীপের জন্য এমবিবিএসে ৬টি ও বিডিএসে ১টি এবং আফগানিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে মোট ১১২ ও বিডিএসে ১৩, অর্থাৎ সর্বমোট ১২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫নন-সার্ক দেশের আসন বণ্টনে সার্ক দেশের মতো একই বৃত্তির আওতায় মিয়ানমারের জন্য এমবিবিএসে ৫টি ও বিডিএসে ২টি, ফিলিস্তিনের জন্য এমবিবিএসে ১৮ ও বিডিএসে ৩টি এবং অন্য সব দেশের জন্য এমবিবিএসে ৪৯ ও বিডিএসে ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে নন-সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে ৭২ ও বিডিএসে ২৭টি, অর্থাৎ মোট ৯৯টি আসন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫