বাটা শুর ৪৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
Published: 27th, June 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বাটা শুর ৫৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় গত বছরের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ঘোষিত ৪৪৫ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি সাড়ে ৪৪ টাকা নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়েছে।
ঘোষিত এই লভ্যাংশের মধ্যে ছিল ৩৪০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ, যা এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ১০৫ শতাংশ ছিল চূড়ান্ত লভ্যাংশ, যা বার্ষিক সভায় অনুমোদনের পর বিতরণ করা হবে।
অনলাইনে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির এজিএমে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান রাজীব গোপালাকৃষ্ণান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবব্রত মুখার্জী, পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, অর্থ পরিচালক ইলিয়াস আহমেদ ও কোম্পানি সচিব শৈবাল সিনহাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শেয়ারধারীরা। সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
বাটা শু ১৯৮৫ সালে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত হয়। এটি ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূলধনের একটি কোম্পানি। বর্তমানে বাটা শুর মোট শেয়ারসংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার। এটির শেয়ারের ৭০ শতাংশই রয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। বাকি ৩০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের হাতে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং বাকি ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে।
বাটা শু গত বছর শেষে সাড়ে ২৯ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। তবে গত বছর শেষে লভ্যাংশ হিসেবে সব মিলিয়ে বিতরণ করবে প্রায় ৬১ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিক শেষে বাটা শু মুনাফা করেছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের পুরো সময়টায় কোম্পানিটি যে মুনাফা করেছিল, তার চেয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকা বেশি মুনাফা করেছে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই
উপমহাদেশে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী নিকেতন’-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অমরেশ রায় চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজশাহীর পঞ্চবটি শ্মশানে তাকে দাহ করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
১৯২৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার চৌদ্দরশি গ্রামে সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অমরেশ রায় চৌধুরী। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার মা রাজলক্ষ্মী রায় চৌধুরীর আগ্রহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার ফরিদপুরের সুধীর লাল চক্রবর্তীর কাছে তার প্রথম হাতেখড়ি হয়। গুরু সুধীর লালের মৃত্যুর পর তিনি সিরাজগঞ্জের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতবিদ হরিহর শুক্লার কাছে কয়েক বছর তালিম নেন।
পরবর্তীতে ফরিদপুরের কোটালীপাড়ার সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর কাছে ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুমরিতে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নেন। নেত্রকোনার বিশিষ্ট শিল্পী ও সুরকার নিখিলচন্দ্র সেনের কাছে আধুনিক, রাগপ্রধান, অতুলপ্রসাদী, নজরুল সঙ্গীত ও শ্যামা সঙ্গীত শেখেন। পরবর্তীতে সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর ছেলে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মানস চক্রবর্তীর কাছেও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন অমরেশ রায় চৌধুরী।
১৯৪৫ সালে বাইশরশি শিবসুন্দরী একাডেমি থেকে ম্যাট্রিক পাসের পর উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যান অমরেশ রায় চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই রাগসঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তার।
১৯৬১ সাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকায় ‘মোহিনী নিকেতন’-এ বাস করতেন অমরেশ রায় চৌধুরী। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক এবং ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
ঢাকা/কেয়া/রফিক