পৃথিবীতে যে সময় বিলুপ্তির মুখে পড়েছিল মানুষ
Published: 27th, June 2025 GMT
বর্তমানে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ৮২০ কোটির বেশি। প্রতি ঘণ্টায় পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে প্রায় ৯ হাজার। কিন্তু অতীতে একসময় পুরো পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ১ হাজার ২৮০ জনে এসে ঠেকেছিল। সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রায় ৯ লাখ বছর আগে পৃথিবী থেকে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে সে সময় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ২৮০ জন।
একটি কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা জানান, গবেষণায় পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করে ৩ হাজার ১৫৪টি বর্তমান মানব জিনোম থেকে জেনেটিক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ৯৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ হারিয়ে গেছে। মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে নতুন হোমিনিন প্রজাতির উত্থান ঘটে। সেই উত্থানের পথেই আধুনিক মানুষ ও নিয়ান্ডারথালদের বিকাশ ঘটে।
কেন মানুষ বিলুপ্তির মুখে পড়েছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। মধ্য–প্লাইস্টোসিন রূপান্তর নামে পরিচিত সেই সময়কালে মহাদেশটি অনেক ঠান্ডা ও শুষ্ক ছিল। আর তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, আফ্রিকার জলবায়ুর কারণে মানুষের সংখ্যা হয়তো কমে গিয়েছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ই-হুয়ান প্যান জানান, মানুষের প্রজাতির বিলুপ্তির বিবর্তনের ধারায় পরবর্তী সময় একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।
ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ই-হুসুয়ান প্যান জানিয়েছেন, নতুন গবেষণা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সে সময় মানুষ কীভাবে বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তন কাটিয়ে উঠেছিল বা প্রকৃতি কীভাবে মস্তিষ্কের বিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে, তা এখনো অজানা।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২২৪ আসন বরাদ্দ
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২২৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২২৪ আসনের মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১৮৪ এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৫টি সার্ক দেশগুলোর জন্য এবং ৯৯টি আসন নন-সার্ক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। সার্ক ও নন-সার্ক কোটা সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। নন-সার্ক কোটা সংরক্ষিত আসনে কোনো সার্ক দেশের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৪ ঘণ্টা আগেসার্ক দেশের আসন বণ্টনে ভারতের জন্য এমবিবিএসে ২২ ও বিডিএসে ২টি, পাকিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ২১টি ও বিডিএসে ২টি, নেপালের জন্য এমবিবিএসে ১৯ ও বিডিএসে ৩টি, শ্রীলঙ্কার জন্য এমবিবিএসে ১৩ ও বিডিএসে ২টি, ভুটানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি, মালদ্বীপের জন্য এমবিবিএসে ৬টি ও বিডিএসে ১টি এবং আফগানিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে মোট ১১২ ও বিডিএসে ১৩, অর্থাৎ সর্বমোট ১২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫নন-সার্ক দেশের আসন বণ্টনে সার্ক দেশের মতো একই বৃত্তির আওতায় মিয়ানমারের জন্য এমবিবিএসে ৫টি ও বিডিএসে ২টি, ফিলিস্তিনের জন্য এমবিবিএসে ১৮ ও বিডিএসে ৩টি এবং অন্য সব দেশের জন্য এমবিবিএসে ৪৯ ও বিডিএসে ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে নন-সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে ৭২ ও বিডিএসে ২৭টি, অর্থাৎ মোট ৯৯টি আসন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫