চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ওই এলাকার চানমারি সড়কে মমতা নগর মাতৃসদন ক্লিনিকের নিচতলায় অপারেশন থিয়েটারে এ ঘটনা ঘটে। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি আগুন নয়, অক্সিজেন সিলিন্ডার লিকেজ হয়েছিল সেখানে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, ক্লিনিকে আগুন লাগলে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। বেলা ৩টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অক্সিজেন সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা তিনটার দিকে মমতা নগর মাতৃসদন ক্লিনিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। বেলা ৩টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তারা গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি বন্ধ করে আশপাশ থেকে রোগী ও স্বজনদের সরিয়ে দেয়।

তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুন লাগেনি। মূলত অপারেশন থিয়েটারে অক্সিজেন সিলিন্ডার লিকেজ হয়েছে। সিলিন্ডার লিকেজের ফলে শব্দ হয় এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কারণে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের খবরে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রামে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে আগুন২ ঘণ্টা আগে

ক্লিনিকের বাইরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারটিতে বেলা ২টার দিকে একটি অপারেশন শেষ হয়। ৩টার দিকে ওই কক্ষ থেকে মৃদু বিস্ফোরণের শব্দ হয়। স্থানীয়রা মিলে এ সময় সেখানে বালু-পানি ছিটান। তবে সেখানে আগুন ছিল না। অক্সিজেন সিলিন্ডারে লিকেজে শব্দ হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

সরেজমিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট দুটিকে ক্লিনিকের সামনে থেকে চলে যেতে দেখা যায়। এর আগে নিরাপত্তা বিবেচনায় ক্লিনিকে থাকা রোগীদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্লিনিকের বাইরে স্থানীয়দেরও ক্লিনিকের ফটক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ক্লিনিক ভবনে প্রবেশের গেটটি বন্ধ ছিল।

ক্লিনিক প্রাঙ্গণে থাকা মোহাম্মদ হানিফ জানান, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা। আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসেন। রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়েছেন তিনি। তিনি এসে কেবল ধোঁয়া দেখেছেন। তবে বড় দুর্ঘটনা হওয়ার আগেই সেখানে ফায়ার সার্ভিস এসে পৌঁছায়।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হতাহতের ঘটনা নেই। ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ ন ল গ খবর প য় ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে

যশোরের শার্শা উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো ভারতীয় নাগরিক মৃত বাবাকে দেখেছেন বাংলাদেশে থাকা তাঁর মেয়ে ও স্বজনেরা। আজ বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ শেষবারের মতো বাংলাদেশি স্বজনদের দেখানো হয়।

মৃত ব্যক্তির নাম জব্বার মণ্ডল (৭৫)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। জব্বার মণ্ডলের মেয়ে রিতু মণ্ডল ও তাঁর স্বজনেরা যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল গ্রামে বসবাস করেন। বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো মরদেহ দেখানোর পর কলকাতার উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বার্ধক্যের কারণে গত মঙ্গলবার জব্বার মণ্ডলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্বজনেরা শেষবারের মতো মরদেহ দেখতে আবেদন করেন। বিষয়টি বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে পৌঁছালে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বুধবার দুপুরে শার্শা সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর স্বজনদের দেখানো হয়। পরে মরদেহ ফিরিয়ে নিয়ে দাফন করা হয়।

কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার মো. সেলিম মিয়া ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এসি সঞ্জয় কুমার রায়। এ বিষয়ে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (৪৯ বিজিবি) সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তের কোনো মানুষ মারা গেলে দুই দেশে তাঁদের আত্মীয়স্বজন থাকলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শেষবারের মতো মরদেহ দেখানোর রীতি আছে। সেই অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর মেয়েসহ স্বজনদের দেখানো হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সর্বদা সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ও আলোচনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে