পদত্যাগপত্র পাঠালেন এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী
Published: 27th, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। জেলা কমিটির অনুমোদনের মাত্র আট দিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।
ইংরেজিতে লেখা পদত্যাগপত্রে রাশেদুল ইসলাম লেখেন, “যথাযথ শ্রদ্ধা এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে, আমি এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি।”
তিনি আরো লেখেন, “এই দলের ব্যানারে দেশের সেবা করতে পারা আমার জন্য সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়। জেলা ইউনিটের নেতৃত্বের জন্য আমাকে যে আস্থা ও সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে, ব্যক্তিগত কারণেই আমাকে এই মুহূর্তে এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে পদত্যাগ করেছেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
রাইজিংবিডিতে সংবাদ: ঢাবির সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ
তিনি এনসিপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লেখ করেন, রাজশাহীতে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক বিকাশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলা কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটি গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বিরাজ করছে। জেলা ও মহানগর সমন্বয় কমিটির মধ্যে রয়েছে মতপার্থক্য। এই বিভাজনের কারণে সম্প্রতি রাজশাহীতে দুই ইউনিটের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণও ছিল অত্যন্ত কম। জেলা ও মহানগরের ব্যানারে আয়োজন করা হলেও ৪৩ জন পদধারী নেতার মধ্যে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন মাত্র ২৭ জন।
এ নিয়ে মহানগর নেতাদের অনুপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যদিও তারা জেলার সঙ্গে দূরত্ব থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে, গত বুধবার রাতে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলা কমিটির নেতারা বসেন। এই রেস্তোরাঁটির মালিক রাশেদুল ইসলাম। সেখানে তার সামনেই ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু অপর যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে তারা একে অপরকে আক্রমণ করছিলেন। এক পর্যায়ে নাহিদুল ইসলাম অপর নেতা ফিরোজ আলমের বুকে লাথি মারলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনার পরদিন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “জেলা কমিটিতে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তাদের বিষয়ে আমি কথা বলেছি। তবে, তা আমলে না নেওয়া শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ধুম চলছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এনসিপিকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।”
এর আগে রাতে পদত্যাগপত্র পাঠান জেলা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম।
পদত্যাগ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “আমি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। এখনো গ্রহণ করা হয়নি। রাজনীতির মানুষ আমি নই। এত বড় পদ আমার জন্য নয় বলেই মনে হচ্ছে। ব্যক্তিগত কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখনো এনসিপির সঙ্গে আছি এবং দলের মঙ্গলই চাই।”
বুধবার রাতের ঘটনার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটাই প্রধান কারণ নয়। তবে, ঘটনাটি আমার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার রাজশাহীতে এসেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। তিনি বলেন, “আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি। রাতেও আলোচনা হবে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। এনসিপির রাজশাহীতে কার্যক্রম আছে, সবাইকে নিয়েই দল এগোবে। পদত্যাগপত্রের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ জ ত য় ন গর ক প র ট পদত য গপত র প ঠ ন হ দ ল ইসল ম র শ দ ল ইসল ম য় কম ট র পদত য গ এনস প র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক