মাইন বিস্ফোরণে ৬ মাসে ৯ জনের পা বিচ্ছিন্ন
Published: 27th, June 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গত ছয় মাসে পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে ৯ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার। মিয়ানমারের ভেতরে আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা এ মাইনে পা হারানো যুবক ও কিশোররা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মো. ইউনুছ নামে আরও এক রোহিঙ্গা যুবকের মাইন বিস্ফোরণে ডান পা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ২ পূর্ব ক্যাম্পের ১-বি ব্লকের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ২০০ মিটার ভেতরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। শূন্য রেখার কাঁটাতারের ওপর তাকে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন। সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতাল, পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই রোহিঙ্গা যুবকের মতো গত ২৫ জুন সকালে মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া নামে এক যুবকের ডান পা উড়ে গেছে। সে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভিকাটান ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল হাফেজের ছেলে। এ আগে ২২ জুন জারুলিয়াছড়ির পাশে জামছড়ি সীমান্তে মো.
স্থানীয়দের ধারণা, মিয়ানমারের ভেতরে আরাকান রাজ্যের সিংহভাগ এখন আরাকান আর্মির দখলে। তারাই সীমান্তে স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে। বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা যুবক-কিশোররা যখন মিয়ানমারের ২০০-৪০০ মিটার ভেতরে প্রবেশ করে তখন মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়। এ পর্যন্ত যেসব যুবক ও কিশোর আহত হয়েছে তারা বেশির ভাগ চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও জামছড়ি পাড়ার বাসিন্দা সাবের হোসেন জানান, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাটিতে মাইন পুঁতে রেখেছে। সে মাইনে পা পড়ার পর বিস্ফোরিত হয়। বিভিন্ন কাজে মিয়ানমার সীমান্তের ভেতরে লোকজন প্রবেশ করার পরই এ ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ছয় মাসে বাংলাদেশি ও বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা মিলিয়ে ৯ জন মাইন বিস্ফোরণে পা হারিয়েছে। এ বিস্ফোরণের ঘটনা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তেই বেশি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাসরুরুল হক বলেন, ২০০-৪০০ মিটার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে তারা সেখানে যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন আর ক ন র ভ তর
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের অভিযোগে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
আরো পড়ুন:
সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত
চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত
এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করতেন।
নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে একাধিকবার কারাগারে যান। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ থেকেই ঝগড়া-বিবাদের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধ করে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।”
ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রানা উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী