বিএনপি ও জামায়াত যেন ‘ফিফটি, ফিফটি’ ভোট পায়, এমনটা চেয়েছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের এক নেতা। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের বেকিমোড়ার পাড় বাজারে ধারণ করা ভিডিওটি গত বৃহস্পতিবার বিকেলের বলে জানা গেছে। ভিডিওটি গতকাল শুক্রবার রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নেতার নাম কালা মিয়া। তিনি উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

ভিডিওতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনকে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। জয়নাল আবেদীন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী।

ভিডিওতে কালা মিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আবার এই দেশে আইতে হইলে (আসতে হলে), জন্ম নিতে হইলে, ১০-১৫ বছরের আগে সম্ভব নয়। যদি আইত পারে, দীর্ঘ দিন যাইত ওইব ওলান (অপেক্ষা করতে হবে)।’ জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন আমরার চেয়ারম্যানসাব (জয়নাল) আইছইন, সামনেদি (আসছেন সামনে) নির্বাচনে এমপি পদপ্রার্থী ওইবা (হবেন) আল্লাহর যদি হুকুম ওয়। আর তাইন পাস করতা পারইন (তিনি পাস করতে পারলে) আমরার এলাকার মানুষ যারা ভোট দিবা; যারা হাটবা-খাটবা তারতো মূল্যায়ন পাইত। যদিন ফেইলও মারইন, তা-ও মূল্যায়ন পাইত। ফেইল মারলেও তো এমপি। আমরা আশা করছি, আল্লাহ পাস কারাউক্কা। দলে যদি সরকার গঠন না করে; তবে আমরা ইগু আশাবাদী জামায়াতে ইসলাম বিরোধী দল থাকব। এর তাকি বেশি দূরে না যাইয়ার।’

কালা মিয়া বলেন, ‘যদি পাস না-ও করতে পারে, জামায়াতে ইসলামরে বিরোধী দল তনে হরাইয়া রাখতা পারতা নায় (জামায়াতকে বিরোধী দল থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না)। আর যা দল আছে, নতুন দল নাগরিক পার্টি একটা বাইর করছে, এরা যে কতটা সিট পাইব, পাবলিকেও জানে তারাও জানে। তারার তো ইচ্ছা দেশ দখল করি লাইতা (দেশ দখল করার ইচ্ছা)। কিন্তু ইলেকশনে খারাইয়া দেখউক্কা (দাঁড়িয়ে দেখুক) কত ধানে কত চাল বারই।’ তিনি বলেন, ‘আমরাও চাইরাম আমরার সেন্টারে জামায়াতে ভোট পাউক অর্ধেক, আর বিএনপি নেউক অর্ধেক। তাঁরাও যেহেতু নির্যাতিত.

..আগে পাইছইন না; তারাও পাইত। আমরা চাইরাম সমান সমান ফিফটি ফিফটি করিয়া।’

এ বিষয়ে কথা বলতে আওয়ামী লীগ নেতা কালা মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

জানতে চাইলে জামায়াতের নেতা জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, তিনিও লক্ষ করেছেন একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। ওই ব্যক্তিকে তিনি চিনতেন না। পরে জানতে পেরেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের নেতা। মূলত গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জে দলের এক নেতার ছেলের বিয়েতে গিয়েছিলেন। ভিডিওতে যে স্থানে দেখা গেছে, পাশেই ছিল অনুষ্ঠান। দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় কেউ একজন কালা মিয়া নামের একজনকে নিয়ে গিয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তিনি বলেন, সামাজিক অনুষ্ঠানটিতে অনেকেই গিয়েছিলেন। বিএনপিরও অনেকে ছিলেন। বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না। বিষয়টি কে বা কারা ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ