বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বিএনপিতে নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। কারণ, গত ২০ বছরে দেশের অনেক তরুণ ভোটার হওয়ার পরও ভোট দিতে পারেননি। তাঁদের সংগঠিত না করলে তাঁরা অন্য দলে চলে যেতে পারেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আওয়ামী লীগের কোনো সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও দাগি আসামি দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।

আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, ‘বিএনপির আদর্শ ও তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে যাঁদের বিশ্বাস রয়েছে, কেবল তাঁদেরই বিএনপির সদস্য করতে হবে।’ এ সময় তিনি দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, সদস্যসংখ্যা না বাড়ালে বিএনপি বৃহত্তর দল হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে, কিন্তু তা যেন কোনোভাবেই বিভেদে পরিণত না হয়। দল আগামী নির্বাচনে যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁকে ঘিরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত অনুষ্ঠানে সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার ও জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য তারিকুল আলম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা নগরীর পথে ইসরায়েলি ট্যাংক, পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযানের পরিসর আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এবার গাজা নগরী দখলে নিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এই নগরীর ১০ লাখ বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে গাজা নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দারা বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছেন। বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে, তাল আল-হাওয়ার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে এগিয়ে আসছে ট্যাংক।

এদিকে ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ২১ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিও রয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় নতুন অভিযানের রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছে। গাজার সবচেয়ে বড় নগরী দখলে নিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর সামরিক বাহিনী নতুন এ অভিযান অনুমোদন করল।

সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আভিযানিক পরিকল্পনার মূল রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির।

কবে নাগাদ ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে প্রবেশ করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা জানায়নি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-ছাওয়াবতা বুধবার বলেন, গাজা নগরীতে আগ্রাসী অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

২২ মাস ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সেখানকার বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার ২২ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগই দফায় দফায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন গাজা নগরীতে।

স্থল অভিযানের বিষয়ে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, এসব হামলা পোড়া মাটি নীতি এবং বেসামরিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংসের মাধ্যমে নতুন পরিস্থিতি তৈরির মারাত্মক উসকানিরই অংশ।

গাজা নগরীর তাল আল-হাওয়া এলাকার বাসিন্দা সাবাহ ফাতোম (৫১) ওই এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণ শুনতে পাওয়ার কথা টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান। এই নারী বলেন, অনেক বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাল আল-হাওয়ার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে ট্যাংক এগিয়ে আসছে। আকাশে ড্রোন উড়ছে। বহু মানুষ বাড়িঘর ও তাঁবু ছেড়ে শহরের পশ্চিম দিকে ছুটছেন।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ২১ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন ৪৩৭ জন।

ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে একই সময়ে অনাহারে মারা গেছেন আট ফিলিস্তিনি, তাঁদের মধ্যে তিনজন শিশু। এ নিয়ে অনাহারে ২৩৫ ফিলিস্তিনি মারা গেলেন, যাঁদের মধ্যে ১০৬টি শিশু। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৬১ হাজার ৭২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় লাখের বেশি।

আরও পড়ুনইসরায়েলি সেনাপ্রধানই কি নেতানিয়াহুর লাগাম টেনে ধরবেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ