করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩৫ জনে।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে একজন করে মোট দুইজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং অন্যজন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী।
এদিকে গত একদিনে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন, চট্টগ্রামে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জন এবং ময়মনসিংহে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত করোনায় মোট ২২ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ১২ জনই নারী। বাকি ১০ জন পুরুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৮০ জন।
সমকালের সিলেট ব্যুরো জানান, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত সিলেটের বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও তিন জন। এরমধ্যে দুজন আইউসিউতে রয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ন জন র ম ত য পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
লেখাপড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক বছর লেখাপড়া শেষে একটা পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পেতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব। তাই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এ বৃত্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বদলে যেতে পারে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষাই নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। এতে করে তার মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখন তার মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই আত্মবিশ্বাস একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক দরকার। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার প্রতিযোগিতামূলক সড়কে একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অভিমত ছাপা হচ্ছে শিক্ষায়আর এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে একটি স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন সে শুধু নিজেই গর্বিত হয় না, তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজও তার ওপর গর্ববোধ করে। এতে তার মধ্যে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। পড়াশোনায় সে আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এই সাফল্য পরবর্তীকালে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫রাবেয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা