গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে ফের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে স্যাটার্ন গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহাসড়কে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয়পক্ষের সমর্থক, পথচারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, গাজীপুরা এলাকায় স্যাটার্ন গার্মেন্টস লিমিটেডের ঝুট নিয়ে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দুপুর ২টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে ২৩ মে একই প্রতিষ্ঠানের ঝুট নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে কাজী হুমায়ুন কবির দাবি করেন, তাঁর নামে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র আছে। শনিবার কারখানায় অডিট চলছিল। কারখানার ভেতরেই ছিলেন তারা। এখন গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা ব্যবসা নিতে তাঁর লোকজন দিয়ে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।

একই বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান জানান, আগের বিরোধের জেরে কাজী হুমায়ুন গ্রুপ ও হালিম মোল্লা গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রায় ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ককট ল ব স ফ র সদস য স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ