গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ
Published: 28th, June 2025 GMT
ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের কারখানায় ঝুট নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। ওই কারখানায় ঝুট মালামাল নিয়ে অনেক দিন ধরে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই কারখানা থেকে ৫ আগস্টের পর গাজীপুর মহানগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজী বেশ কয়েকবার মালামাল বের করেন। গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা তার লোকজন নিয়ে তাদের প্রতিহত করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত এক মাস আগে হালিম মোল্লা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন করে ঝুট নেয়ার চুক্তি করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২৮ জুন) হালিম মোল্লা তার লোকজন নিয়ে ঝুট মাল বের করতে গেলে হুমায়ুন কাজী তার লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এ সময়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই অন্তুত ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে হালিম মোল্লা ও হুমায়ুন কাজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে কথা বলতে স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার পরিচালক আমান উল্লাহ ফোন করা হলেও তিনিও ফোন ধরেননি।
আরো পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, কৃষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ছেঁড়া নিয়ে সংঘর্ষ-অগ্নিসংযোগ, আহত ৩০
গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কাজী ও হালিম মোল্লার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময়ে তারা ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ব এনপ র স ঘর ষ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।
আরো পড়ুন:
১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার
১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়
যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।
ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ