ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের কারখানায় ঝুট নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। ওই কারখানায় ঝুট মালামাল নিয়ে অনেক দিন ধরে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই কারখানা থেকে ৫ আগস্টের পর গাজীপুর মহানগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজী বেশ কয়েকবার মালামাল বের করেন। গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা তার লোকজন নিয়ে তাদের প্রতিহত করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত এক মাস আগে হালিম মোল্লা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন করে ঝুট নেয়ার চুক্তি করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২৮ জুন) হালিম মোল্লা তার লোকজন নিয়ে ঝুট মাল বের করতে গেলে হুমায়ুন কাজী তার লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এ সময়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই অন্তুত ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হালিম মোল্লা ও হুমায়ুন কাজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে কথা বলতে স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার পরিচালক আমান উল্লাহ ফোন করা হলেও তিনিও ফোন ধরেননি।

আরো পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, কৃষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ছেঁড়া নিয়ে সংঘর্ষ-অগ্নিসংযোগ, আহত ৩০

গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কাজী ও হালিম মোল্লার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময়ে তারা ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। 
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ব এনপ র স ঘর ষ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো

সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন?  সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে  ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়।  অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—

এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।

আরো পড়ুন:

যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে

লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?

দুই. সকালে খালি পেটে  পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।

মনে রাখবেন,  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।

প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে  এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ