যে বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়েছেন তাকে মূল্যায়ন করতে হবে: অধ্যাপক নার্গিস বেগম
Published: 28th, June 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, এখন সময় ঐক্যের, বিভেদের নয়। জনগণ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, তার প্রতিদান আমাদের দিতেই হবে। যে লোকটা বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত হয়েছেন, কষ্ট করেছেন তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। কোনো সুযোগসন্ধানীকে সুযোগ দেবেন না।
আজ শনিবার বিকালে যশোর শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, রাজনীতিতে কর্মীর চাইতে কেউ আপন হতে পারে না। যারা কর্মীদের মূল্যায়ন করে না তারা জনগণের নেতা হতে পারে না। আমাদের ভেতর নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে, দ্বন্দ্ব নয়। অন্য দলে প্রার্থী খুঁজতে হয়। আর বিএনপিতে অনেক প্রার্থীর ভিড়ে বাছাই করতে হয়। আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যাতে আমাদের দল ক্ষমতায় যেতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, নতুন সদস্য এবং সদস্য নবায়ন, এটি সঠিকভাবে করবেন। এতে আপনার দল সঠিকভাবে চলবে। এটি সঠিকভাবে করবেন না, আপনার দলও সঠিকভাবে চলবে না। তখন সুযোগসন্ধানীরা সুযোগ নেবেন। এই কাজটা দয়া করে করতে দেবেন না।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক টি এস আইয়ূব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম নিজে ফরম সংগ্রহ করে তিনি তার দলীয় সদস্যপদ নবায়ন করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, গত ২০ বছরে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। জীবনের প্রথম ভোটটি দেওয়ার জন্য তারা মুখিয়ে আছেন। নতুন ভোটারদের দলের সদস্য করা না হলে তারা অন্য দলে ভিড়ে যাবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এ সুযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, দাগী আসামিরা বিএনপিতে ঢুকে পড়তে না পারেন। যারা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের প্রতি আস্থাশীলরা তারাই বিএনপির সদস্য হতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ইমেজধারি ব্যক্তিদের এই দলের সদস্যতে আনার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জেলায় এক লাখ নতুন সদস্য যোগ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র ব এনপ ব এনপ র স আম দ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষ আর চলতে চায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাই মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এজন্য দেশপ্রেমিক ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে ভোটের বাক্স হবে একটি। আমরা ইসলামী দলগুলো আর কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না।’’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘‘একটি দল আছে, যারা পূর্বে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ নানা অপরাধ করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীও করছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে পুরনো বন্দোবস্তর জন্য নয়। নতুন সিস্টেম ও নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষমতা দেখেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের মানুষ পুরনো সিস্টেম আর দেখতে চায় না। পুরনো বউকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে এনে জনগণের সামনে উপস্থাপন করলে জনগণ আর মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। পিআর কার্যকর করতে হবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নির্বাচনের পূর্বেই দিতে হবে। বিদেশি অথবা দেশের কোনো অপশক্তির ইশারায় যদি এগুলো কার্যকর করা না হয়। তাহলে, ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’’
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব