শেষ ঠিকানার কারিগর মনু মিয়ার কবর খুঁড়লেন ৫ ব্যক্তি
Published: 29th, June 2025 GMT
শেষ ঠিকানার কারিগর মনু মিয়াও চলে গেলেন শেষ ঠিকানায়। তার সেই শেষ ঠিকাবার কবর খুঁড়লেন একই এলাকার পাঁচ ব্যক্তি।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মনু মিয়া।
এদিন বাদ আসর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জয়সিদ্ধিসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ তার নামাজের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে জয়সিদ্ধি এলাকার কবরস্থানে মনু মিয়াকে দাফন করা হয়।
এসময় মনু মিয়ার শেষ ঠিকানার কবর খননের দায়িত্ব নেন জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের করণশী গ্রামের কৃষক হবু রহমান (৬০)। তাকে কাজে সহায়তা করেন, একই গ্রামের টুক্কু মিয়া (৫৫), আলগাপাড়ার ইয়াছিন মিয়া (৫০), ডুয়েরপাড়ের বাতেন মিয়া (৫০) এবং আলগাপাড়ার যুবক মারুফ খান সুজাত (২৯)।
মনু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামে। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ মার্চ। কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করছিলেন ১৯৭২ সাল থেকে। এ পর্যন্ত ৩ হাজারেরও বেশি খবর খুঁড়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার ছবি এখন ভেসে বেড়াচ্ছে।
মনু মিয়ার চাচাতো ভাই আবদুর রউফ জানান, অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মনু মিয়া। গত ১৪ মে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এক রকম মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা হয়েছিল তার। তারপর বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর নিজ গ্রামে ফেরেন। এরপর ভালই ছিল, হঠাৎ তিনি আবারো অসুস্থ হলে জানা যায় তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
এর আগে মনু মিয়ার অনুপস্থিতিতে গত ১৭ মে তার প্রিয় বাহন ঘোড়াটিকেও কারা যেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলে। তবে সেটি নিয়ে তার ছিল না কোন আক্ষেপ।
মনু মিয়া কবর খোঁড়ার পর মৃত ব্যক্তির পরিবারের কারো কাছ থেকে নিতেন না কোন পারিশ্রমিক বা যাতায়াত খরচ। এমনকি খাবারের বেলায়ও ছিল একই নিয়ম তার। নিজের বাড়ি থেকে খেয়ে রওনা না হতে পারলে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েও খেতেন নিজ খরচে।
ঢাকা/রুমন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয়স দ ধ আলগ প ড় র কবর কবর খ
এছাড়াও পড়ুন:
বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সাখাওয়াত-টিপু
বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও বন্দর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা উপজেলার সাবদীবাজার শ্রী রক্ষাকালী মন্দির পূজা মন্ডপ, দিলঘদী কলাগাছিয়া শুভকরদী পূজা মন্ডপ, সাবদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির পূজা মন্ডপ, মিরকুন্ডী শ্রী শ্রী সাধু পরেশ মহাত্মা আশ্রম পূজা মন্ডপ, শ্রী শ্রী ব্রহ্মা মন্দির ও উপাসনালয় পূজা মন্ডপ, ঋষিপাড়া পূজা মন্ডপ, প্রেমতলা পূজা মন্ডপ, লাঙ্গলবন্দ স্নান সেবা কেন্দ্র পূজা মন্ডপ, লাঙ্গলবন্দ রাজঘাট পূজা মন্ডপ, আড্ডা শ্যামপুর পূজা মন্ডপসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এসময় তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন এবং পূজার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ লিটন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধান, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।