রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিপরীত পাশের সড়কে একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জান্নাতুল ফেরদৌস বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিপরীত পাশের সড়কে একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই তরুণকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপরজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই বাদশা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিহত দুজনই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পুলিশ পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

পুলিশের এই উপপরিদর্শক বলেন, দুর্ঘটনার স্থানটি কাফরুল থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানার পুলিশ ঘটনাটি দেখছে। মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেই এসআই গ্রেপ্তার, এবার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে কেএমপি ঘেরাও

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে তারা কেএমপির সামনের সড়ক অবরোধ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পুলিশের এসআই সুকান্ত দাসকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সুকান্তকে গ্রেপ্তারের পরও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এবার তারা কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন। তবে এই দাবির সঙ্গে একমত না হওয়ায় একটি অংশ আন্দোলন থেকে ফিরে গেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, সুকান্তকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছি। সেই দাবিতে বৃহস্পতিবারও কর্মসূচি চলছে।

তবে মহানগর কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের দাবি ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দাবি পূরণ হয়েছে, এখন নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি পৃথক অভিযানে একটি রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি, ছাত্রদলের দুই নেতা এবং যুবদলের একটি ওয়ার্ডের সভাপতি অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলটি পুলিশ কমিশনারের ওপর ক্ষিপ্ত। সুকান্ত গ্রেপ্তারের পরের আন্দোলন তাদের প্ররোচনা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেএমপি কমিশনারকে না সরালে খুলনা অচলের হুঁশিয়ারি
  • রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী নিহত
  • কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে আবার বিক্ষোভ
  • কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ
  • পুলিশের উপপরিদর্শকের বাড়িতে ডাকাতি
  • কৃষি ক্যাডারের তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  • গাজীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩
  • পুলিশের এসআই সুকান্ত দাসকে কারাগারে প্রেরণ  
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, এবার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে কেএমপি ঘেরাও