ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে গাজীপুর নগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় নগরের গাজীপুরা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার কাজী আবদুল মান্নানের ছেলে কাজী হারুন অর রশিদকে (৫০) প্রধান আসামি করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান।

মামলার আসামিরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মী বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন, ফারহাদ বিন প্রবাল, আবু সাঈদ মোল্লা, কাজী মামুন, নুরুল আমিন বাবু, আবদুল্লাহ আল মামুন, বাদশা মিয়া, আদনান খান, কাউসার, জসিম, তারা মিয়া, এম এস আরিফ, আরেফিন সিদ্দিক বুলবুল, আসাদুজ্জামান মামুন, আজিজুর রহমান, নাহিদ, সেলিম, সোহেল আহাম্মেদ ময়না, মাইদুল মোল্লা, সেলিম মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, মইনুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজমুল করিম বাবু, ফজলে রাব্বি প্রমুখ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ জনকে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরা পশ্চিমপাড়া স্যাটার্ন টেক্সটাইলস লিমিটেডের চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাতিলকৃত কাপড় (ঝুট) কেনার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে বাদী (হুমায়ুন কবির) উপস্থিত হন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বাদী কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আসামিরা এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে তাঁরা ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তাঁরা বিএনপি নেতা গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লার লোকজন। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আরও পড়ুনটঙ্গীতে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ১৬ ঘণ্টা আগে

গাজীপুর মেট্রোপলিটন টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় গতকাল রাতে একটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার নেই। আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ককট ল ব স ফ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘কুত্তা শাকিল’ গ্রেপ্তার

বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও ১০ মামলার আসামি শাকিল মাহমুদ ওরফে ‘কুত্তা শাকিল’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও শাজাহানপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাকিল শাজাহানপুরের জোকা এলাকার আব্দুল জলিল কেরানীর ছেলে এবং বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি। তিনি আলোচিত ক্যাডার হত্যাসহ দেড় ডজন মামলার আসামি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরুর সহযোগী।

আরো পড়ুন:

ইটনায় ইউএনওর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১

প্রবাসীর পরিত্যক্ত ঘরে মিলল ৩০ হাতবোমা

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকা থেকে শাকিল মাহমুদ ওরফে কুত্তা শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাকিলের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা, মারধর, চাঁদাবাজি, অনধিকার প্রবেশ, নারীর শ্লীলতাহানি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনের একাধিক মামলা রয়েছে।’’

ঢাকা/এনাম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ