মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট বোন মালাইকা চৌধুরী এখন আর বোনের পরিচয় নন, ধীরে ধীরে নিজের পরিচয় গড়ে তুলছেন অভিনেত্রী হিসেবেও। ‘সন্ধিক্ষণ’ ও ‘ক্ষতিপূরণ’-এর মতো নাটকে দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার তিনি হাজির হচ্ছেন নতুন এক আবেগঘন গল্প নিয়ে-নাটকের নাম ‘অনুতপ্ত’।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন কেএম সোহাগ রানা। তাঁর ভাষায়,
‘এটি একটি পারিবারিক গল্প। বাবার দায়িত্ববোধ, ভালোবাসা, সন্তানকে ঘিরে তার মানসিক টানাপোড়েন-এই আবহেই গল্পটি সাজানো। দর্শক খুব সহজেই নিজেদের খুঁজে পাবেন এখানে।’
‘অনুতপ্ত’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে মালাইকার সঙ্গে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ। এর আগে তাঁকে ফারহান আহমেদ জোভান এবং ইয়াশ রোহানের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে। নতুন নাটকেও তার অভিনয়ে রয়েছে সংবেদন ও স্থিরতা।
নাটকে আরও অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, শিবা শানু এবং তানজিম হাসান অনিক। ঢাকার নানা লোকেশনে এর দৃশ্যধারণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
সম্পর্কের আড়ালে জমে থাকা অভিমান, ভুল বোঝাবুঝি আর একটুখানি অনুতাপ-এই অনুভবগুলো ঘিরেই সাজানো হয়েছে নাটকের কাহিনি।
নাটকটি শিগগিরই মুক্তি পাবে ‘সিনেমাওয়ালা’ ইউটিউব চ্যানেলে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।