এসএমই খাতের উন্নয়নে অঙ্গীকার থাকতে হবে নির্বাচনী ইশতেহারে
Published: 29th, June 2025 GMT
কর্মসংস্থান এবং রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এ খাতের উন্নয়নে এখনও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসব বাধা দূর করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। ক্ষমতায় এলে কোন দল এসএমই খাতের উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেবে, তার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে তা উল্লেখ করতে হবে।
টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে এমএসএমই খাতের ভূমিকাবিষয়ক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা ভবনে এমএসএমই দিবস উপলক্ষে বিডা এবং এসএমই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ আয়োজন করে।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, যুবসমাজ যদি তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এসএমই উদ্যোক্তা হতে পারে, সে জন্য বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, একটি উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনীতির জন্য দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে হবে। উন্নত বিনিয়োগ পরিবেশে এসএমই খাতকে শক্তিশালী করা সময়ের দাবি।
আলোচনায় গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড.
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো, পণ্য প্রদর্শন কেন্দ্র, ইনকিউবেশন স্পেস ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এমএসএমই দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবন থেকে বিডা ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএমই এসএমই খ ত র র জন ত ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২২ থেকে ২৬ জুন) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৫৪২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
শনিবার (২৮ জুন) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮.৪২ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৯০ পয়েন্ট বা ২.১৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮২০ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২১.৪০ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ২৫.৬৬ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৮টির, দর কমেছে ৮৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২০টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৯.২২ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৬১ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.০৯ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.১৫ শতাংশ বেড়ে ৮৬১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৬৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ কোটি ৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৭২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, দর কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/টিপু