আকিজ এসেনসিয়াল-এর প্রথম ‘পার্টনার্স মিট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়
Published: 30th, June 2025 GMT
দেশের অন্যতম এফএমসিজি ব্র্যান্ড আকিজ এসেনসিয়াল তাদের রাইস বাল্ক অংশীদারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘আকিজ এসেনসিয়াল পার্টনার্স মিট ২০২৫’। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার হল-২-এ গত শনিবার দিনব্যাপী এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রচার এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন। অনুষ্ঠানে আকিজ এসেনসিয়াল-এর শীর্ষ বিক্রেতাদের পাশাপাশি ‘চিনিগুড়া নবান্ন উৎসব ক্যাম্পেইন’-এর বিজয়ীদের পুরস্কার ও সম্মাননাস্বরূপ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজ রিসোর্স-এর সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত রাইস বাল্ক অংশীদারগণ। এ সময় এফএমসিজি শিল্পের বর্তমান চাহিদা, বাজারের প্রবণতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং আকিজ এসেনসিয়াল-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আকিজ এসেনসিয়াল-এর সিইও এম.
আকিজ রিসোর্স-এর ভাইস চেয়ারম্যান এ. কে. জোয়াদ্দার বলেন, “আকিজ এসেনসিয়াল ও এর অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। পারস্পরিক সহযোগিতা ও নতুন সম্ভাবনার অন্বেষণই আমাদের যৌথ সফলতার চাবিকাঠি। আমি আশাবাদী, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় ও ফলপ্রসূ হবে।”
আকিজ এসেনসিয়াল-এর সিইও এম. এম. আরসলান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ২০২৫ সাল আকিজ এসেনসিয়াল এবং আমাদের অংশীদারদের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমরা একটি টেকসই ও উদ্ভাবনভিত্তিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।”
আকিজ রিসোর্স-এর চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোহাম্মাদ তৌফিক হাসান বলেন, “এই পার্টনার্স মিট কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং সম্পর্ক গড়ার, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এবং সম্মিলিতভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এক অসাধারণ সুযোগ। আকিজ এসেনসিয়াল সবসময় গুণমান ও উদ্ভাবনে বিশ্বাসী।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আকিজ রিসোর্স-এর ডেপুটি চিফ অপারেটিং অফিসার সোহানুর রহমান সোহান, ক্লাস্টার চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার কাজী মোত্তাকিন হোসাইন, এবং হেড অব অ্যাডমিন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) এম. মুরশেদুল বারি ফাহিম।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করা আকিজ এসেনসিয়াল ইতোমধ্যেই দেশের এফএমসিজি খাতে একটি বিশ্বস্ত ও মানসম্পন্ন ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মান ও সেবায় আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘পুষ্পমঞ্জরি’ ছাদবাগানে আছে ১২৬ প্রজাতির গাছ
সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতেই চোখে পড়বে লাল-সবুজের বাহারি গালিচা। এর আশপাশে বর্ণিল ফুলের সমারোহ। এ ছাড়া বেড়ে উঠেছে সারি সারি জলপাই, সফেদা, কতবেল, আম, জাম, পিটুনিয়া, পীতরাজসহ নানা জাতের ফুল-ফল আর ঔষধি গাছগাছড়া। প্রতিটি গাছ লাগানো হয়েছে একেকটি ড্রামে। পাশে কাঠিতে সাঁটানো আছে গাছগুলোর বৈজ্ঞানিক নামফলক। পুরো বাগানটির একটি নামও আছে, সেটি ‘পুষ্পমঞ্জরি’।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫-এর অনুষ্ঠানে এই ছাদবাগানকে জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বাগানটির অবস্থান নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের বর্ধিত অংশের ছাদে। জেলায় পরিচিতি পেলেও এবার বাগানটি নজর কেড়েছে সারা দেশের মানুষের। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাগানটি পেয়েছে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা। ২৫ জুন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।
ঐতিহ্যবাহী নাটোরকে নান্দনিক নাটোর হিসেবে গড়ে তোলার বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদবাগান অনন্য ভূমিকা রাখছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বাগানে আছে ৯ প্রজাতির বনজ, ৪৫ প্রজাতির ফলদ, ২১ প্রজাতির ভেষজ, ২৬ প্রজাতির শোভাবর্ধনকারী, ৭ প্রজাতির দেশীয় বিলুপ্তপ্রায়, ৭ প্রজাতির বিরল এবং ১১ প্রজাতির সবজি ও অন্যান্য গাছ। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ইক্ষুও এই ছাদবাগানে চাষ করা হয়েছে।
২৫ জুন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন