সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদকে আটক করেছে পুলিশ। 

রবিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টায় সদর উপজেলার নিজ বাসভবন থেকে তাকে আটক করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, আটক জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আজ (সোমবার) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মুনসুর আহমেদ সভাপতি এবং নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই কমিটিতে শেখ হারুন আর রশিদ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।

ঢাকা/শাহীন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘পকেট কমিটি’ গঠনের অভিযোগ

জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করেছেন বিগত কমিটির নেতারা। তারা কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাদের দিয়ে পুনরায় কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের সকাল বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দ্বিতীয় তলায় ‘জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীর ব্যানারে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।  

সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিগত কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবু, পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম মিজানুর রহমান মিলন, সহ-কোষাধ্যক্ষ মো. ফয়সাল বক্তব্য রাখেন। বিগত কমিটির বিভিন্ন পদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মিটিংয়ের পর স্থিতিশীলতা এসেছে: শরিফ

‘মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম’

বক্তারা বলেন- গত ২৬ জুন নুরল মমিন আকন্দ কাউছারকে আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল করিম সুমনকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্র থেকে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করে। সেই কমিটিতে ত্যাগীদের বাদ দেওয়া হয়। 

তাদের অভিযোগ, কমিটির আহ্বায়ক কাউছার ৫ আগস্টের পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজন কুমার চন্দের নতুন হাই স্কুল মোড়ের অফিস দখল করেছেন। সদস্য সচিব সুমন স্টেশন এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার বাবা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। একজন সরকারি কর্মকর্তার জমি দখল ও সেই কর্মকর্তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কমিটি বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা করতে হবে। 

অভিযোগের বিষয়ে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরল মমিন আকন্দ কাউছার মোবাইলে বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, তখন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আমরা এই শহরের বাসিন্দা। এই শহরসহ সাংবাদিক সমাজের সবাই জানে আমরা কেমন। একটি সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবহিত করব।”

জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল করিম সুমন মোবাইলে বলেন, “আমি ছাত্রদলের প্রার্থী ছিলাম। যেহেতু আমার ছাত্রত্ব নেই। আমি বিবাহিত, সন্তান রয়েছে, তাই সেখান থেকে আমি সরে আসি। এর আগে একটি ঘটনায় আমাকে শোকজ করা হয়েছিল, আমি এর জবাব দিয়েছিলাম। পরে আমাকে আর বহিষ্কার করা হয়নি।” 

তিনি বলেন, “আমি স্টেশনের কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। এই এলাকার যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই এর জবাব পাবেন। আমার বাবা আওয়ামী লীগ করতো। কিন্তু আমি বিএনপির আদর্শে আদর্শিত। আমার বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। এই দুনিয়াতে আমার কেউ নেই। পরিবার আর রাজনীতি এক না। আমি অনেকগুলো রাজনৈতিক মামলার আসামি ছিলাম। দলের দুঃসময়ে আমার কি অবদান এটা আপনারা একটু খোঁজ নেবেন। কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলে ত্যাগীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।”

ঢাকা/শোভন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ