আহমেদ আকবর ও স্ত্রীসহ তারিক আহমেদ সিদ্দিককে তলব করেছে দুদক
Published: 30th, June 2025 GMT
ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাছাড়া মানি লন্ডারিং, রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি দখল, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আহমেদ আকবর সোবহানকেও তলব করেছে সংস্থাটি। তাদের বুধবার (২ জুলাই) অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে তাদের সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। দুদক তাদের প্রত্যেককে হাজির হওয়ার জন্য পৃথকভাবে নোটিশ পাঠিয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির ৬ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
স্ত্রী-ছেলেসহ দুদকের মামলায় আসামি রাজশাহীর আ.
এতে বলা হয়েছে, আপনাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
এজন্য এসব অভিযোগের বিষয়ে আগামী বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাদের অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) এ আদেশ দেন।
দুদক জানায়, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বারিধারার সাততলা বাড়ি, তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের নামে থাকা বারিধারার ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের নামে থাকা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের জমিও ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দুদক।
অন্যদিকে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি দখল, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
গত বুধবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক আহম দ স দ দ ক দমন ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা
নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায় বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।
পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ