কৃষি উৎপাদনের আর্থিক মান বিবেচনায় চাষাবাদের জমির মাত্র ১ দশমিক ২০ শতাংশ প্রত্যাশিত স্তরে রয়েছে। ৪৩ দশমিক ১৭ শতাংশ গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আছে। চাষাবাদের বাকি ৫৬ শতাংশ জমিরই টেকসই ব্যবহার হচ্ছে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো–বিবিএস পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়ন পরিমাপে পরিচালিত 'উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫' নামের গবেষণা প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ করা হয়।

জমির মান নিয়ে উদ্বেগের কারণ থাকলেও খাদ্য নিরাপত্তা সূচক বেশ ইতিবাচক। জরিপ বলছে, ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ কৃষক পরিবার গত বছরে কোনো খাদ্য সংকটে পড়েনি।  জমির নিরাপদ মালিকানা অধিকার রয়েছে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কৃষক পরিবারের, যা কৃষি খাতের সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একটি বড় উপাদান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.

মাহবুবুল হক পাঠোয়ারী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী।

বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মেদ মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

বিবিএসের 'টেকসই কৃষি পরিসংখ্যান (এসএএস)' প্রকল্পের অধীনে ২০ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত জরিপের  তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষিজমির অনুপাত নিরূপণের লক্ষ্যে জরিপে সারা দেশের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা, পরিবেশগত টেকসই মান এবং জমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

জরিপ বলছে, দেশের ৭২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কৃষিজমিতে মাটির ক্ষয় লক্ষণীয়, যা কৃষি উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতায় বড় বাধা। পানির প্রাপ্যতার বিবেচনায় ৮১ দশমিক ৬৬ শতাংশ জমি ভালো অবস্থানে আছে। তবে সার ব্যবস্থাপনায় টেকসই পদ্ধতি অনুসরণের হার মাত্র ৫৭ শতাংশ। কীটনাশক ব্যবস্থাপনায় এ হার ৫১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক চাষাবাদ গ্রহণের হার ৭১ শতাংশ, যা পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে  ইতিবাচক অগ্রগতি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ পর স খ য ন ব য র পর স খ য ন ট কসই দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘পুষ্পমঞ্জরি’ ছাদবাগানে আছে ১২৬ প্রজাতির গাছ

সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতেই চোখে পড়বে লাল-সবুজের বাহারি গালিচা। এর আশপাশে বর্ণিল ফুলের সমারোহ। এ ছাড়া বেড়ে উঠেছে সারি সারি জলপাই, সফেদা, কতবেল, আম, জাম, পিটুনিয়া, পীতরাজসহ নানা জাতের ফুল-ফল আর ঔষধি গাছগাছড়া। প্রতিটি গাছ লাগানো হয়েছে একেকটি ড্রামে। পাশে কাঠিতে সাঁটানো আছে গাছগুলোর বৈজ্ঞানিক নামফলক। পুরো বাগানটির একটি নামও আছে, সেটি ‘পুষ্পমঞ্জরি’।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫-এর অনুষ্ঠানে এই ছাদবাগানকে জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

বাগানটির অবস্থান নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের বর্ধিত অংশের ছাদে। জেলায় পরিচিতি পেলেও এবার বাগানটি নজর কেড়েছে সারা দেশের মানুষের। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাগানটি পেয়েছে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা। ২৫ জুন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।

ঐতিহ্যবাহী নাটোরকে নান্দনিক নাটোর হিসেবে গড়ে তোলার বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদবাগান অনন্য ভূমিকা রাখছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বাগানে আছে ৯ প্রজাতির বনজ, ৪৫ প্রজাতির ফলদ, ২১ প্রজাতির ভেষজ, ২৬ প্রজাতির শোভাবর্ধনকারী, ৭ প্রজাতির দেশীয় বিলুপ্তপ্রায়, ৭ প্রজাতির বিরল এবং ১১ প্রজাতির সবজি ও অন্যান্য গাছ। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ইক্ষুও এই ছাদবাগানে চাষ করা হয়েছে।

২৫ জুন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাহিত্য রিপোর্টাস ক্লাব নির্বাচনে প্রিন্স সভাপতি ডালিম সম্পাদক
  • সাধারণ জ্ঞান-১০: মে ২০২৫: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ জুন ২০২৫)
  • ইংরেজি ও জাপানি ভাষা জানলে বাড়তি সুবিধা
  • ঢাকা ক্লাবের নতুন সভাপতি শামীম হোসেন
  • এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলথ ইকোনমিকসে মাস্টার্স, ৪০ আসন, জিপিএ ২.৫ হলে করুন আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২৯ জুন ২০২৫)
  • জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘পুষ্পমঞ্জরি’ ছাদবাগানে আছে ১২৬ প্রজাতির গাছ