বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে পরিসংখ্যান
Published: 1st, July 2025 GMT
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যধকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
সীমিত পরিসরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে দুই দলের পরিসংখ্যানে চোখ বুলনো যাক,
১০
দুই দল এখন পর্যন্ত ১০টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে। ২০০২ সালে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে দুই দল। সবশেষ ২০২৪ সালে। শ্রীলঙ্কা ছয়টি ও বাংলাদেশ দুটি সিরিজ জিতেছে। দুটি সিরিজ ড্র হয়েছে।
৫৭
মুখোমুখি ৫৭ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ৪৩ ম্যাচে। বাংলাদেশের ১২ ম্যাচে। ২ ম্যাচে কোনো ফল আসেনি।
৩৫৭/৯
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৮ সালে লাহোরে এশিয়া কাপের ম্যাচে ৯ উইকেটে ৩৫৭ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৪।
৭৬
সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজেদের কাছে রাখতে না পারলেও সর্বনিম্ন রানের তালিকায় উপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ২০০২ সালে কলম্বোর এসএসসি স্টেডিয়ামে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান ১২৪।
১৯৮
রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে পোস্ট অব স্পেনে বাংলাদেশকে ১৯৮ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে ৩১১ রানের টার্গেট দিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ১৬৩।
১২০৭
দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান মুশফিকুর রহিমের। ৩৯ ম্যাচে মুশফিকুর ১২০৭ রান করেছেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। ৩১ ম্যাচে ১২০৬ রান করেছেন সাঙ্গাকারা।
১৬১*
এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৬১। তিলকারত্নে দিলশান ২০১৫ সালে মেলবোর্নে ১৬১ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান মুশফিকুরের। ২০১৮ এশিয়া কাপে ১৪৪ রান করেছিলেন মুশফিকুর।
৫
কুমার সাঙ্গকারা দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
৫
বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন সর্বোচ্চ ৫টি ডাক মেরেছেন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে।
২৪৮
এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২৪৮ রান করার রেকর্ডটি নিজের দখরে রেখেছেন তিলকারত্নে দিলশান। ২০১৪ সালে ৩ ওয়ানডেতে ২৪৮ রান করেছিলেন দিলশান। ২টিই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৩১
দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩১ উইকেট পেয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।
২৫/৬
সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা চামিন্দা ভাস নিজের দখলে রেখেছেন। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভাস। ওই ম্যাচেই ২৫ রানে ৬ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার।
৪
দুই দলের মোট ৪ বোলার ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। দুশমন্থ চামিরা, চামিন্দা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরন ৫ উইকেট পেয়েছেন একবার করে। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
৮৬
আব্দুর রাজ্জাক ২০০৭ সালে ১০ ওভারে ৮৬ রান দিয়েছিলেন নিজের বোলিং স্পেলে। যা এখনও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং স্পেল।
৯
দুশমন্ত চামিরা ও সনাৎ জয়াসুরিয়া এক সিরিজে সর্বোচ্চ ৯টি করে উইকেট পেয়েছেন।
১৮
২৬ ম্যাচে ১৮ ক্যাচ নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।
২১৫
জুটিতে সর্বোচ্চ রান করেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে ও উপল থারাঙ্গা। ২০১০ সালে মাহেলা ও থারাঙ্গা বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে ২১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন।
৩৯
দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ থেকে শুরু করে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৩৯ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট প য় ছ ন র ন কর ছ ল র ন কর ছ ন কর ছ ল ন প রথম সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বাষট্টিতে নগরবাউল জেমস
নগরবাউল জেমস। তার পুরো নাম মাহফুজ আনাম জেমস। ভক্তরা তাকে ‘গুরু’ বলেই ডাকেন। জেমস মানেই তারুণ্যের উন্মাদনা। তার নাম অনেক তরুণের স্বপ্নের সূতিকাগার। নিজের মেধা আর মননে হয়ে ওঠেছেন এ প্রজন্মের গুরু। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নন্দিত এই ব্যান্ড সংগীতশিল্পী জেমসের জন্মদিন। ৬১ বছর পূর্ণ করে বাষট্টিতে পা দিতে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন জেমস।
১৯৬৪ সালে ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন জেমস। কিন্তু তার শৈশব কেটেছে চট্টগ্রামে। বাবার চাকরির সূত্রে চট্টগ্রামের সৈকতের বালুচরে কেটেছে তার দুরন্ত শৈশব। জেমসের বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা, যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরো পড়ুন:
জুবিনের গাওয়া গান আমাকে বিখ্যাত করেছে: অনন্ত জলিল
পণ্ডিত চন্নুলাল মারা গেছেন
পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সংগীতচর্চা শুরু করেন জেমস। একসময় সংগীতের জন্য ঘর ছাড়েন তিনি। পালিয়ে গিয়ে চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে উঠেন। সেখান থেকেই তার সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু।
১৯৮০ সালে ‘ফিলিংস’ নামে ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন জেমস। এর মাধ্যমে প্রথম তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে এহসান এলাহী ফানটিকে নিয়ে নগর বাউল নামে ব্যান্ড গঠন করেন। বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সাইকিডেলিক রক শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড থেকে প্রকাশ করেন প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামে একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন জেমস। এ অ্যালবামের গানগুলো দারুণ শ্রোতাপ্রিয় হয়।
বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে জেমসের খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বে। ভারতের পশ্চিম বঙ্গে রয়েছে জেমসের অনেক ভক্ত। সেই সূত্রে ২০০৪ সালে বাঙালি সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। ২০০৫ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন জেমস। চলচ্চিত্রটিতে তার গাওয়া ‘ভিগি ভিগি’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এক মাসেরও বেশি সময় তা বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল।
২০০৬ সালে ‘ওহ লামহে’ চলচ্চিত্রের ‘চল চলে’ গানে কণ্ঠ দেন জেমস। ২০০৭ সালে ‘লাইফ ইন এ মেট্টো’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। এতে ‘রিশতে’ ও ‘আলবিদা’ গানে কণ্ঠ দেন তিনি। সর্বশেষ হিন্দি চলচ্চিত্রে ‘ওয়ার্নিং’-এ প্লেব্যাক করেন জেমস। ‘বেবাসি’ শিরোনামের গানটি ২০১৩ সালে মুক্তি পায়।
জেমসের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হলো—‘বাংলাদেশ’, ‘জেল থেকে আমি বলছি, মা’, ‘দুখিনী দুঃখ করো না’, ‘লেইস ফিতা লেইস’, ‘বাবা কত দিন’, ‘বিজলী’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘মিরাবাঈ’, ‘পাগলা হাওয়া’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া’ প্রভৃতি।
নগর বাউল থেকে প্রকাশিত অ্যালবামগুলো হলো—‘স্টেশন রোড’ (১৯৮৭), ‘জেল থেকে বলছি’ (১৯৯৩), ‘নগর বাউল’ (১৯৯৬), ‘লেইস ফিতা লেইস’ (১৯৯৮), ‘দুষ্ট ছেলের দল’ (২০০১)। জেমসের একক অ্যালবামগুলো হলো— ‘অনন্যা’ (১৯৮৯), ‘পালাবে কোথায়’ (১৯৯৫), ‘দুঃখিনি দুঃখ করোনা’ (১৯৯৭), ‘ঠিক আছে বন্ধু’ (১৯৯৯), ‘আমি তোমাদেরই লোক’ (২০০৩), ‘জনতা এক্সপ্রেস’ (২০০৫), ‘তুফান’ (২০০৭), ‘কাল যমুনা’ (২০০৮)।
ঢাকা/শান্ত