শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আরও দুই হত্যা মামলা
Published: 1st, July 2025 GMT
গাজীপুরে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যা ও প্ররোচনার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক।
কালিয়াকৈর উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন (২০) ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার নাওগাঁও গ্রামের হাফিজুল ইসলাম গাজীর (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় এসব মামলা করা হয়।
একটি মামলা করেন হাফিজুল ইসলামের বড় ভাই আবদুল হামিদ গাজী। কালিয়াকৈর থানায় করা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এ ছাড়া মামলায় ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু–কিশোর পরিষদের সভাপতি তালহা ইবনে অলিসহ আরও ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০০ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে কালিয়াকৈরের সফিপুর আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র–জনতার মিছিল হয়। মিছিলে গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন নিহত ও শতাধিক ছাত্র–জনতা আহত হন। সেখানে হাফিজুল ইসলাম গাজী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৫ আগস্ট তিনি মারা যান।
আবদুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বন্ধু নয়ন মিয়া মামলা করেছেন। ওই মামলায়ও প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এ ছাড়া মামলায় ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ৪০০ নেতা-কর্মীকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট সফিপুর আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ আল মামুন। তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১১
চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার সদস্য ও আন্দোলনকারী পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারী পক্ষের সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন–চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।