অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এডাস্ট এসডিআই) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের মধ্যে সোমবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সমঝোতা স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এডাস্ট এসডিআই-এর পরিচালক ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন এবং সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এর চেয়ারম্যান ও সিইও ড.

জে কিউন মুন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান লিটু, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সিরাজুল হক চৌধুরী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য কামরুন নেহার, সদস্য তানভীর ইসলাম পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, চিফ একাডেমিক অ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. এ.বি.এম. শহিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল কাইউম সরদার, ইনডিপেন্ডেন্ট রিনিউবেল এনার্জি কনসালটেন্ট সামসুল আরেফিন সোহেল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিউটের বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার ব্যারিস্টার জাকির হাসান, প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর তানঝিম আরা ইঝুম, সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের দক্ষিন কোরিয়া এবং বাংলাদেশ টিমের সদস্য, এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. জাবের আহমদ, রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন ইইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মাজিদ ইশতিয়াক আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ।

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এডাস্ট এসডিআই এমন একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মশক্তি গড়ে তুলবে যারা সোল গেটওয়ে কর্পোরেশন ও তাদের কোরিয়ান অংশীদারদের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত থাকবে। প্রশিক্ষণ হবে শিল্পভিত্তিক, ব্যবহারিক ও আধুনিক, যা দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থান মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ফলে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের সুযোগ বিশেষত কোরিয়ায় প্রবেশাধিকার সহজ হবে। এছাড়াও এই এমওইউ দ্বিপাক্ষিক একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা, একাডেমিক ভিজিট এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পথ উন্মুক্ত করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শিক্ষাগত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক উদ্ভাবনের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ল গ টওয এক ড ম ক র সদস য স ম রক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

চাশতের নামাজের ওয়াক্ত কখন হয়

চাশতের নামাজ, যা সালাতুদ দুহা নামে পরিচিত, একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নফল নামাজ। এই নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, গুনাহ মাফ এবং আধ্যাত্মিক শান্তি লাভের একটি বিশেষ মাধ্যম। রাসুল (সা.) নিজে এই নামাজ আদায় করতেন এবং সাহাবিদের এটি পড়তে উৎসাহিত করেছেন।

চাশতের নামাজের সময়

চাশতের নামাজের সময় সূর্যোদয়ের পর থেকে শুরু হয় এবং জোহর নামাজের সময় শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চলে। এটি সাধারণত সকালের প্রথমাংশে আদায় করা হয়। বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:

শুরুর সময়: সূর্যোদয়ের প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর, যখন সূর্যের লাল আভা চলে যায় এবং সূর্য কিছুটা উপরে উঠে। এই সময়টি নিষিদ্ধ নামাজের সময়ের বাইরে।

শেষের সময়: সূর্য মাথার উপরে মধ্যাহ্নে পৌঁছানোর ঠিক আগে, অর্থাৎ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।

সর্বোত্তম সময়: হাদিস অনুযায়ী, সকালের মাঝামাঝি সময়, যখন সূর্য বেশ উঁচুতে উঠে যায় এবং দিনের তাপ বাড়তে শুরু করে, তখন চাশতের নামাজ পড়া উত্তম। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে চাশতের নামাজ সকালে সূর্য উঁচু হওয়ার পর পড়ার কথা বলা হয়েছে। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৪)

বাংলাদেশে সূর্যোদয় যদি সকাল ৫:৩০ এ হয় এবং জোহরের ওয়াক্ত দুপুর ১২:০০ টায় শুরু হয়, তবে চাশতের নামাজের সময় সকাল ৫:৫০ থেকে ১১:৫০ পর্যন্ত। সর্বোত্তম সময় হতে পারে সকাল ৮:০০ থেকে ১০:০০ এর মধ্যে।

আরও পড়ুনসালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম১১ আগস্ট ২০২৫চাশতের নামাজের নিয়ম

চাশতের নামাজ দুই থেকে বারো রাকাত পর্যন্ত আদায় করা যায়, তবে সাধারণত দুই বা চার রাকাত পড়া হয়। নিচে এর নিয়ম দেওয়া হলো:

নিয়ত করা

নামাজ শুরু করার আগে মনে মনে চাশতের নামাজের নিয়ত করতে হবে। উদাহরণ:
“আমি দুই/চার রাকাত সালাতুদ দুহা নফল নামাজ আল্লাহর জন্য আদায় করছি।”
নিয়ত মনে মনে করা যথেষ্ট।

নামাজ আদায়

রাকাত সংখ্যা: সর্বনিম্ন দুই রাকাত এবং সর্বোচ্চ বারো রাকাত। প্রতি দুই রাকাতে সালাম ফিরিয়ে পড়া উত্তম।

পড়ার পদ্ধতি: সাধারণ নফল নামাজের মতোই পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়ার কথা কোথাও কোথাও বর্ণিত হয়েছে। তবে যেকোনো সুরা পড়া যায়।

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজের সময়সূচি ও বিধান০৬ আগস্ট ২০২৫চাশতের নামাজের ফজিলত

চাশতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে। প্রতিদিন তোমার শরীরের প্রতিটি জোড়ার জন্য সদকা দেওয়া উচিত। আর চাশতের দুই রাকাত নামাজ এই সদকার পরিবর্তে যথেষ্ট।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯৮২)

মনে রাখতে হবে

সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং মধ্যাহ্নের সময় চাশতের নামাজ পড়া যাবে না।

নামাজে মনোযোগ বজায় রাখা, যাতে এর আধ্যাত্মিক উপকার পাওয়া যায়।

চাশতের নামাজ নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, কারণ এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।

আরও পড়ুন‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ একটি ফজিলতপূর্ণ তাসবিহ২৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ