এডাস্ট এসডিআই ও সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
Published: 1st, July 2025 GMT
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এডাস্ট এসডিআই) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের মধ্যে সোমবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এডাস্ট এসডিআই-এর পরিচালক ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন এবং সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এর চেয়ারম্যান ও সিইও ড.
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান লিটু, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সিরাজুল হক চৌধুরী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য কামরুন নেহার, সদস্য তানভীর ইসলাম পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, চিফ একাডেমিক অ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. এ.বি.এম. শহিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল কাইউম সরদার, ইনডিপেন্ডেন্ট রিনিউবেল এনার্জি কনসালটেন্ট সামসুল আরেফিন সোহেল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিউটের বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার ব্যারিস্টার জাকির হাসান, প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর তানঝিম আরা ইঝুম, সোল গেটওয়ে কর্পোরেশনের দক্ষিন কোরিয়া এবং বাংলাদেশ টিমের সদস্য, এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. জাবের আহমদ, রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন ইইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মাজিদ ইশতিয়াক আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এডাস্ট এসডিআই এমন একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মশক্তি গড়ে তুলবে যারা সোল গেটওয়ে কর্পোরেশন ও তাদের কোরিয়ান অংশীদারদের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত থাকবে। প্রশিক্ষণ হবে শিল্পভিত্তিক, ব্যবহারিক ও আধুনিক, যা দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থান মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ফলে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের সুযোগ বিশেষত কোরিয়ায় প্রবেশাধিকার সহজ হবে। এছাড়াও এই এমওইউ দ্বিপাক্ষিক একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা, একাডেমিক ভিজিট এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পথ উন্মুক্ত করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শিক্ষাগত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক উদ্ভাবনের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ল গ টওয এক ড ম ক র সদস য স ম রক সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
চীনকে শান্ত করতে দূত পাঠাচ্ছে জাপান
তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে জাপানের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চীনকে শান্ত করতে এবং চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে বেইজিংয়ে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পাঠাচ্ছে টোকিও।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) জাপানের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আরো পড়ুন:
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ২ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমান
শীতকাল এলেই ‘স্নো ফেইরি’ হয়ে যায় বরফের বলের মতো
প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হয় জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির একটি মন্তব্যকে ঘিরে। চলতি মাসের শুরুতে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “চীন যদি তাইওয়ানে আক্রমণ চালায়, তাহলে তা জাপানের নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি এবং জাপান সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।”
পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর মধ্যে আগে থেকে কিছুটা বিরোধ থাকলেও,, জাপানের কর্মকর্তারা এতদিন প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করাটা এড়িয়ে চলতেন, কারণ এতে বেইজিং আরও ক্ষুব্ধ হতে পারে। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে থাকে চীন।
জাপানের মিডিয়া সোমবার জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও ওসেনিয়া ব্যুরোর প্রধান মাসাআকি কানাই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লিউ জিনসংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে কানাই তাকে জানাবেন যে- তাকাইচির মন্তব্য জাপানের নিরাপত্তা নীতিতে কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় না এবং একইসঙ্গে তিনি চীনকে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাবেন যা দুই দেশের সম্পর্কে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তাইওয়ান জাপানের পশ্চিমতম দ্বীপপুঞ্জ থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার (৬৮ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং তেল ও গ্যাস সরবরাহের জন্য টোকিও নির্ভরশীল গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের কাছাকাছি অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জাপানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় অবস্থান রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বেইজিং সতর্ক করে বলেছিল, তাইওয়ান ইস্যুতে জাপান সামরিক হস্তক্ষেপ করলে তারা ‘ভয়াবহ পরাজয়’ বরণ করবে। পাশাপাশি জাপানে ভ্রমণের বিরুদ্ধে চীনা নাগরিকদের সতর্কও করা হয়। আর এটি জাপানের পর্যটনব্যবসার জন্য বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “চীনের ভ্রমণ সতর্কতা ‘কৌশলগত, পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক উন্নয়নের বিস্তৃত দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’। আমরা চীনা পক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দৃঢ় অনুরোধ করেছি।”
জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি এই সপ্তাহের শেষের দিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেতে পারেন, উভয়ই শুক্রবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘গ্রুপ অব ২০’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার নিউ তাইপেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তে বলেন, চীন জাপানের বিরুদ্ধে ‘বহুমুখী আক্রমণ’ চালাচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানাচ্ছি। চীনকে সংযত আচরণ করার এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সমস্যা সৃষ্টিকারী না হয়ে একটি বড় শক্তির মতো দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ঢাকা/ফিরোজ