সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের আরও তিন দিন রিমান্ড
Published: 2nd, July 2025 GMT
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার সকালে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি চকরিয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চকরিয়া থানায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে আজ সকালে জাফর আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পেকুয়া থানার একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এর আগেও পেকুয়া থানার দুটি মামলায় জাফর আলমের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। নতুন করে তিন দিনসহ মোট সাত দিনের রিমান্ডের জন্য জাফর আলমকে সকালে আদালত থেকে পেকুয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চকরিয়া আদালতে নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) গোলাম সরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের বটতলী শফিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে রাখার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাফর আলমের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আজ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে সাত দিনের রিমান্ডের জন্য পেকুয়া থানায় আনা হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে অভিযানে অস্ত্র–গুলি ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, পুকুরে তল্লাশি
রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে কোচিং সেন্টারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্র, গুলি ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্রের অনুসন্ধানে পাশের পুকুরে নেমেছেন ডুবুরিরা। আজ শনিবার বেলা তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় দুই ডুবুরি অনুসন্ধান করছিলেন।
কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিংয়ে ওই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। কাদিরগঞ্জের সড়ক বন্ধ করে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সেনাসদস্যরা ওই ভবন ঘিরে রাখেন। দুপুরের পর রাজশাহী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ এক মাসের গোয়েন্দা নজরদারির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলের (মেকানাইজড) একটি দল গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় এ অভিযান শুরু করে।
ডক্টর ইংলিশ কোচিংয়ের মালিক মোন্তাসেবুল আলমকে (অনিন্দ্য) আটক করা হয়েছে। আটক অন্য দুজনের নাম মো. রবিন ও মো. ফয়সাল। মোন্তাসেবুল রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিউল আলমের (লাট্টু) ছেলে। তাঁদের বাড়ির নিচতলায় ওই কোচিং সেন্টারের অবস্থান। তাঁরা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় মোন্তাসেবুল আলমকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে কোচিং সেন্টারে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ঘিরে রেখেছেন সেনাসদস্যরা৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে পুকুরে অনুসন্ধানে নেমেছেন ডুবুরিরা। আজ শনিবার দুপুরে