খেলার সময় বল পড়ে যায় পানিতে, তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
Published: 2nd, July 2025 GMT
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পানিতে ডুবে আলিফ (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বহরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আলিফ ওই গ্রামের রাশেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলিফ বাড়ির পাশের কুশনা বহরামপুর বাওড় পাড়ে বল নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় তার হাতে থাকা বল পানিতে পড়ে যায়। পরে বল তুলতে পানিতে নেমে ডুবে যায় সে। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ সময় শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে আলিফকে পানি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর জামান বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন।’’
আরো পড়ুন:
মগবাজারে হোটেল থেকে উদ্ধার তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, যা জানালেন চিকিৎসক
রামুতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
ঢাকার সাভার উপজেলার সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ায় বেরন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির অধিকাংশ আসন পুড়ে গেছে।
চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহন নামের মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর চারটার দিকে চালকের সহকারী বাসটি ধুয়েমুছে টয়লেটে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন বাসটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা১ ঘণ্টা আগেচালক মো. পিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি রাখি। এরপর ভোর পাঁচটায় গাড়ি বাইর করি। কাইল রাইতে হেলপার বাস পরিষ্কার কইরা ওয়াশরুমে গেছে, এরপর আইসা দেখে আগুন জ্বলতাছে। তখন পৌনে পাঁচটার মতো বাজে। বাসের সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে।’
দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হলেও কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’