৩ জুলাই: রেকর্ড ১১০৪ উইকেট নেওয়াদের জন্মদিন
Published: 3rd, July 2025 GMT
স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের আজ ৭৪তম জন্মদিন। ১৯৯০ সালে টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার। ৮৬ টেস্টে ৪৩১ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন হ্যাডলি।
শুধু হ্যাডলিই নন, ৩ জুলাই জন্মদিন টেস্টে ৪০০ উইকেট ক্লাবের আরেক সদস্য হরভজন সিংয়েরও। স্যার রিচার্ড হ্যাডলির ২৯ বছর পর ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণ করা ভারতীয় অফ স্পিনার ১০৩ টেস্টে পেয়েছেন ৪১৭ উইকেট।
টেস্টে ৪০০ উইকেট নেওয়া ১৭ বোলারের মধ্যে এই দুজনেরই জন্ম ৩ জুলাই। শুধু এই দুজনই নয়, টেস্টে ১০০ উইকেট নেওয়া আরেক বোলার ইউয়েন চ্যাটফিল্ডের জন্মও ৩ জুলাই। ৩ জুলাই জন্মদিন জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার হেনরি ওলোঙ্গা, পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ওয়াসিম রাজা ও বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি পেসার সৈয়দ রাসেলেরও। আর তাঁরা সবাই মিলে একটি অন্য রকম রেকর্ডও করেছেন।
বাংলাদেশের সাবেক পেসার সৈয়দ রাসেলের জন্মদিনও আজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত