দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ‘উৎসব’ সিনেমা দিয়ে ফিরেছেন জাহিদ হাসান। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি এখনও প্রেক্ষাগৃহে চলছে। এই সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। তবে এরইমাঝে খানিকটা বিতর্কে জড়ালেন এই অভিনেতা।

সম্প্রতি জাহিদ হাসান একটি সাক্ষাৎকারে শাকিব খানের নামে পাশে ‘মেগাস্টার’ শব্দটি ব্যবহার বিষয়ে আপত্তি জানান। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে এই অভিনেতাকে নিয়ে সমালোচনা। বিশেষকরে শাকিব ভক্তরা বেজায় চটেছেন তার ওপর।

বুধবার জুলাই আরেকটি সাক্ষাৎকারে জাহিদ হাসান বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এই অভিনেতার মতে, তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় একটা কথা মানি, কাউকে ছোট করে কেউ কখনো বড় হতে পারে না। আমি নিজেই তো ছোট মানুষ, শাকিব খানকে ছোট করতে যাব কেন? হয় আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, না হয় আমি ভালোভাবে বুঝাতে পারিনি। এটি ভুল বোঝাবুঝি। আমি যেভাবে বলতে চাচ্ছিলাম, সেভাবে হয়তো বুঝাতে পারিনি।’

টম ক্রুজ, শাহরুখ খান, সালমান খানের কথা উল্লেখ করে জাহিদ হাসান বলেন, ‘কেউ নিজেই যখন বড় মানুষ হয়ে যায়, তার সামনে অন্যকোনও বিশেষণ লাগে না। যেমন টম ক্রুজ, শাহরুখ খান, সালমান খান বা ম্যারাডোনা, তাদের নামের আগে কি অন্যকিছু দেওয়ার দরকার আছে? এই চিন্তু থেকে আমি আগের কথা বলেছি। শাকিব আজ যে জায়গায় গেছে, আমি তাকে আরও বড় দেখতে চাই।’

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘আমি শাকিব ভক্তদের আবেগকে সম্মান করি। যারা তার ভক্ত-অনুসারী, তারা যে মন খারাপ করেছে, এটি এক ধরনের ইতিবাচক বিষয়। কিন্তু তারা বিষয়টি (আগের মন্তব্য) বুঝতে পারলে শাকিব খান আরও বড় হতো বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ তারা তো শাকিবকে ভালোবাসে, আমরাও ভালোবাসি। আমি কি বুঝাতে পেরেছি? এটাও যেন ভুলভাবে ব্যাখ্যা না হয়।’

অভিনেতা বলেন, ‘শাকিব খান তো আমাদেরই। আমাদের জিনিস আমাদের করে রাখতে হবে। নিজেরা এ রকম করলে খারাপ, এসব ভালো নয়। সবসময় মাথায় রাখতে হবে, কাউকে ছোট করে কখনও কেউ বড় হতে পারে না।’

তারকাদের মধ্যে বিরোধ বা হানাহানি কখানো ভালো বিষয় না বলেও জানান জাহিদ হাসান। এগুলো থেকে ব্যক্তিজীবনে দূরে থাকতে চান তিনি।

জাহিদ হাসানের ভাষ্য, ‘শিল্পীদের মধ্যে বিরোধ-হানাহানি কখনোই ভালো না। ধর্মগ্রন্থ, পাঠ্য বই কিংবা সামাজিকতায় যেটাই বলি না কেন সবখানে হানাহানির বিরোধীতা করা হয়েছে। এগুলো কখনোই ভালোকিছু বয়ে আনে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবেও নিজেদের মধ্যে কোনো ধরণের মনমালিন্য চাই না।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’

নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।

সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।

লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।

লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।

ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ