হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শহরে নাশকতা, লুটপাট, দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলাটি করে।

ঘটনার পর শহরে জারি করা ১৪৪ ধারা গতকাল বুধবার রাত ১২টার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

রুহুল আমিন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সামাজিকভাবে বিষয়টির মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে আজ নবীগঞ্জ শহরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে যেসব দোকান ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও নবীগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শান্তি ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে জরুরি। উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে আমরা বসেছিলাম। কোনো সমাধানে এখনো পৌঁছাতে না পারায় আজ আবারও আমরা বসব। আশা করি, এ বিষয়ে একটা সমাধানে আমরা যেতে পারব।’

আরও পড়ুনসংঘর্ষের পর উত্তেজনা অব্যাহত, নবীগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারার সময়সীমা বেড়েছে০৯ জুলাই ২০২৫

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যাসহ নাশকতা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে পুলিশ বাদী হয়ে ৩২ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে। এ মামলায় আগে আটক হওয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শহরের পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত।

আরও পড়ুনফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, থামাতে নবীগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি০৭ জুলাই ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৪৪ ধ র স ঘর ষ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু জিনিয়ার হৃদ্‌যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন

মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্‌যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।

জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।

আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ