জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে এবারও এসএসসি পরীক্ষায় সব পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ কলেজ থেকে এবার ৫৫ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ক্যাডেট কলেজ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্য বিগত কয়েক বছর ধরে অর্জিত ধারাবাহিক সাফল্যেরই অংশ। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সঠিক দিক নির্দেশনা এবং কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফুল হকের তত্ত্বাবধানে এ সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

ক্যাডেট কলেজগুলো বরাবরই সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বহুমুখী সহ-পাঠ্যক্রমিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত। পরীক্ষার্থী ক্যাডেটবৃন্দ তাদের এ সাফল্যের পেছনে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ এবং বিশেষভাবে তাদের অভিভাবকবৃন্দের অকুণ্ঠ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফুল হক আশা প্রকাশ করেন, জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও অক্ষুণ্য থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য ড ট কল জ এ স ফল য পর ক ষ কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন ক্ষুব্ধ  অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে মোট মান ৫০। এর জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়। বাকি ২৫ নম্বর দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আট স্কুলের ৮৮৩ পরীক্ষার্থীর কেউ ২৫ নম্বরের বেশি পাননি। তবে এসব স্কুল থেকে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তারা পুরো ২৫ নম্বর দিয়েছেন।

অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ২৫ নম্বর কম দেওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফল খারাপ হয়েছে। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে নম্বর বাদ পড়তে পারে।

আরো পড়ুন:

পরিবারহীন ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়

পটুয়াখালীতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ

যে আট স্কুলের শিক্ষার্থীরা বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল ও আলোর মেলা হাই স্কুল।

বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। এখন বোর্ড থেকে হোক বা আমাদের এখানে হোক কোনোভাবে ভুল হতে পারে। কিন্তু, আমরা কাউকে ইচ্ছে করে নম্বর কম দেইনি। তাহলে সবার কম আসত না।’’

সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল শুক্রবার অফিস বন্ধ। রবিবার আমরা বোর্ডে কথা বলি। তখন কোথায় ভুল হয়েছে দেখে সংশোধন করা যাবে। বিষয়টি অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’’

এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের স্কুল থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবাইকে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দেওয়া নম্বর যোগ হয়নি। ধারণা করছি, কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।’’

ঢাকা/এনাম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণিত ও ইংরেজি প্রভাব ফেলেছে ফলাফলে
  • মানবিকে কম মেধাবীরা ভর্তি হওয়ায় ফল খারাপ হয়েছে: কুমিল্লার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
  • কুড়িগ্রামের ৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি 
  • এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও অপ্রত্যাশিত ফল, ৫ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
  • কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে
  • সিংড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শতভাগ পাস
  • মাধ্যমিকের স্বাভাবিক ফল, অস্বাভাবিক ফেল
  • লক্ষ্মীপুরে ফলাফলে এগিয়ে রায়পুর, পিছিয়ে রামগতি
  • ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে
  • এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল