চীনে চিকনগুনিয়াতে আক্রান্ত ৭ হাজার মানুষ
Published: 5th, August 2025 GMT
চীনের গুয়াংডং প্রদেশে মশাবাহিত রোগ চিকনগুনিয়াতে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কোভিড-১৯ মহামারীর সময় গৃহীত পদক্ষেপের অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর হচ্ছে ফোশান। এখানে চিকুনগুনিয়া রোগীদের হাসপাতালে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের বিছানা মশারি দিয়ে সুরক্ষিত রাখতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পর অথবা এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পরই তাদের ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সংক্রামিত মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি জ্বরের কারণে শরীরের জোড়াগুলোতে ব্যথা অনুভব হয়। এই ব্যথা কখনো কখনো বছরের পর বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে।
ফোশান ছাড়াও, দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশের কমপক্ষে ১২টি শহরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহেই প্রায় তিন হাজার আক্রান্তের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনো আক্রান্ত রোগীদের লক্ষণ মৃদু দেখা গেছে। ৯৫ শতাংশ রোগীকে সাত দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও, এই রেকর্ড কিছুটা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গুয়াংডং প্রদেশের কর্তৃপক্ষ রোগের বিস্তার রোধে ‘নির্ধারক এবং জোরালো ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাদের জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা বা ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ রয়েছে তাদের নিকটতম হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তাদের ভাইরাস পরীক্ষা করা যায়।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সকালে বাড়ি থেকে এসেছি, কী এমন ঘটল যে সন্ধ্যায়ই বাবাকে চলে আসতে হলো
সন্ধ্যা ছয়টার মতো বাজে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের রুমে রুমে লাইট জ্বলে উঠেছে। হলে আজই আমার প্রথম দিন। সকালে মেজদা এসে হলের গেটে নামিয়ে দিয়ে গেছে। নতুন নতুন মানুষ দেখে শুরুতে আনন্দই লেগেছে।
তবে সন্ধ্যার মুহূর্তটা কেমন যেন বিষণ্ন করে তুলেছে। পরিবার ছেড়ে কোনো দিন আলাদা থাকিনি, সেই কষ্ট জেগে উঠেছে। নানা কিছু ভাবছি, এমন সময় কেয়ারটেকার এসে বললেন, ‘গেটে আপনার বাবা এসেছেন।’
তাঁর কথা শুনে তো আমি হতবাক! সকালে বাড়ি থেকে এসেছি, কী এমন ঘটল যে সন্ধ্যায়ই বাবাকে চলে আসতে হলো! উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা নিয়ে গেটের দিকে ছুটলাম। গেটে গিয়ে দেখি ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে আছেন বাবা।
বাবাকে আর বলতে পারলাম না যে এই অসময়ে কেন এসেছেন? কাছে যেতেই জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা। বাবার কান্না দেখে আশপাশের মেয়েরাও চোখের পানি সামলাতে পারল না।
মেজদার সঙ্গে সকালে আসার সময় বাবা বাড়িতে ছিলেন না। বুঝতে পারলাম বাড়িতে আমার অনুপস্থিতি বাবা সহ্য করতে পারেননি। তাই দুপুরে রওনা দিয়ে চলে এসেছেন।
আরও পড়ুনশবনম ফারিয়ার বিয়ের ১০টি ছবি৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাসে বাবাকে নিয়ে ঘুরলাম। ঘণ্টাখানেক পার করে অনেকটা জোর করেই তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। জোরাজুরি করে পাঠিয়ে দিয়েছি বলে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি! স্কুলের দিনগুলোর মতো বাড়িতে থাকলে নিশ্চয়ই সে রাতেও চুলে বিলি কেটে দিতেন বাবা।
আজ এত দিন পরও বাবার সেদিনের স্মৃতি ভুলতে পারি না। আমার বাবা শিক্ষক মানুষ। তাঁর হাত ধরেই আমাদের ভাইবোনদের স্কুলজীবন কেটেছে। মেঠোপথ দিয়ে বাবার সঙ্গে স্কুলে যেতাম। ‘মাস্টারের মেয়ে’ বলে স্কুলে অন্যদের কাছে বাড়তি কদরও পেতাম।
আমরা চার বোন। আমাদের মধ্যে নাকি তাঁর মাকে খুঁজে পান বাবা। তাই এখনো তাঁর কন্যাদের ‘মা’ বলে ডাকেন!
বাবা এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তাঁকে নিয়ে কত স্মৃতি। কন্যাসন্তান বলে বাবার কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। তাই নিজেকে অনেক সময় অনেক অসহায় লাগে।
আরও পড়ুনবাইচের একটি নৌকা ঘিরে যেভাবে এক হয়েছেন সুনামগঞ্জের এই গ্রামের মানুষ১২ ঘণ্টা আগেআপনিও লিখুনপ্রিয় পাঠক, আপনিও লিখুন ‘ছুটির দিনে’র নিয়মিত বিভাগ ‘জীবন যেমন’–এ। লিখে জানাতে পারেন জীবনের কোনো সুখ–স্মৃতি, রোমাঞ্চ–জাগানিয়া ঘটনা, উত্থান–পতন, পাওয়া না–পাওয়ার গল্প।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
প্র ছুটির দিনে, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা–১২১৫
ই-মেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ: fb.com/ChutirDine
খামের ওপর বা ই–মেইলের subject-এ লিখুন ‘জীবন যেমন’।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জের এই বাড়ি স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে স্বর্ণপদক জিতেছে১০ ঘণ্টা আগে