চীনের গুয়াংডং প্রদেশে মশাবাহিত রোগ চিকনগুনিয়াতে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কোভিড-১৯ মহামারীর সময় গৃহীত পদক্ষেপের অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর হচ্ছে ফোশান। এখানে চিকুনগুনিয়া রোগীদের হাসপাতালে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের বিছানা মশারি দিয়ে সুরক্ষিত রাখতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পর অথবা এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পরই তাদের ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সংক্রামিত মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি জ্বরের কারণে শরীরের জোড়াগুলোতে  ব্যথা অনুভব হয়। এই ব্যথা কখনো কখনো বছরের পর বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে।

ফোশান ছাড়াও, দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশের কমপক্ষে ১২টি শহরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহেই প্রায় তিন হাজার আক্রান্তের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনো আক্রান্ত রোগীদের লক্ষণ মৃদু দেখা গেছে। ৯৫ শতাংশ রোগীকে সাত দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও, এই রেকর্ড কিছুটা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গুয়াংডং প্রদেশের কর্তৃপক্ষ রোগের বিস্তার রোধে ‘নির্ধারক এবং জোরালো ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাদের জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা বা ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ রয়েছে তাদের নিকটতম হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তাদের ভাইরাস পরীক্ষা করা যায়।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল, ৬৬ জনের মৃত্যু

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ সংখ্যা জানিয়েছে। এটি চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি। ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।

কালমায়েগি নামের এ ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের জনবহুল দ্বীপ সেবুর সব শহর প্লাবিত হয়ে গেছে। সেখানে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আরও ২৬ জন নিখোঁজ।

বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন ছাদের ওপর আশ্রয় নিচ্ছেন। রাস্তায় গাড়ি ও শিপিং কনটেইনার ভেসে যাচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুসারে, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের ছয়জন ক্রুও আছেন। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতার জন্য হেলিকপ্টারটিকে পাঠানো হয়েছিল।

গতকাল মঙ্গলবার আগুসান দেল সুর এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া চারটি হেলিকপ্টারের একটি ছিল এটি।

ফিলিপাইন বিমানবাহিনী বলেছে, ‘হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরপরই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।’ পরে বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো পাইলট ও ক্রুদের বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল ভোরে স্থলভাগে আঘাত হানে। এরপর এটি কিছুটা দুর্বল হয়েছে। তবে এখনো ঘণ্টায় ৮০ মাইলের (১৩০ কিলোমিটার) বেশি বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়টি আজ বুধবারের মধ্যে ভিসায়াস দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে এগিয়ে যাবে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের উপপ্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো আজ স্থানীয় রেডিও স্টেশন ডিজেডএমএম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সর্বশেষ হতাহতের তথ্য জানিয়েছেন।

রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো বলেন, উদ্ধারকর্মীরা ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আকাশ পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

আলেজান্দ্রো আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বাধা হলো রাস্তায় পড়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ ও গাড়িগুলো। আমাদের প্রথমে সেগুলো সরাতে হবে।’

প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘সেবুর পরিস্থিতি আগে এমন কখনোই হয়নি।’

আজ জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

ফিলিপাইনে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০টি ঝড় আঘাত হানে।

কালমায়েগি ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর কারণে ইতিমধ্যে সেখানে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ