স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার যেন মাথা তুলতে না পারে: ওয়াদুদ ভূঁইয়া
Published: 6th, August 2025 GMT
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বিগত ১৬ বছর ছিল শেখ হাসিনার আঁচলের নিচে। যুবলীগ, ছাত্রলীগের মধ্যে লুকিয়ে ছিল তারা। তারা যেন আবার ছাব্বিশের নির্বাচনে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকাতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থান উপলক্ষে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক দিন আগে এই খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রীসরা ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল। হামলায় অনেক শিক্ষার্থী পুঙ্গত্ব বরণ করেছে। আমার বাসভবনে বৈঠকে তারা বিনা উস্কানিতে হামলা করে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।’
সমাবেশের আগে খাগড়াছড়িতে বিজয় শোভাযাত্রা করেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া বিজয় মিছিলে হাজারো নেতা–কর্মী যোগ দেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শহরের শাপলা চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি প্রবীন কুমার চাকমা।
আরও পড়ুনস্বৈরাচারী কায়দায় দল চালান ওয়াদুদ ভূইঁয়া, অভিযোগ ভাতিজার২১ মে ২০২২.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জবি প্রশাসনের ‘দায়সারা’ জবাবের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রণয়ন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও দুটি হলের কাজের অগ্রগতি এবং সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর না হওয়ার প্রতিবাদ ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি চেয়ারে ‘প্রশাসন’ লিখে বসিয়ে এ প্রতীকী প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
ওই চেয়ারের সামনে রাখা প্ল্যাকার্ডে তারা ‘ছাত্র সংসদ কবে হবে?’, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ কবে শুরু হবে?’, ‘পুরান ঢাকায় দুটি হলের কাজ কবে হবে?’, ‘সম্পূরক বৃত্তি কবে হবে?’ লিখেছেন।
আরো পড়ুন:
রাবিতে বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮৩ শিক্ষার্থী
চবি প্রশাসনকে নিয়ে পথনাটক ‘বহুতদিন অইয়ে আর মুলা ন ঝুলায়ো’
এসব প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বক্তব্যের অনুকরণে চেয়ারে লিখে দেন— ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘চিঠি পাঠিয়েছি’, ‘বের হয়ে যাও’, ‘হচ্ছে, চলছে, চলমান’, ‘৮টা টু ৮টা’।
এ বিষয়ে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলার প্রতিফলন। ন্যায্য অধিকার- সম্পূরক বৃত্তি প্রদান ও জকসু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আজকের প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি— এই নীরবতা চলতে দেওয়া হবে না। প্রশাসন যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেয়, বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “এই জবাবদিহিতা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়; অথর্ব ও মেরুদণ্ডহীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ। গণঅভ্যুত্থানের পর যাদের ক্ষমতায় আনতে আমরা গেট লক কর্মসূচি পালন করেছিলাম, তারাই আজ মৌলিক অধিকার নিয়ে উদাসীন।”
তিনি বলেন, “আবাসন, ভাতা, ছাত্র সংসদ— সবখানেই ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও দুটি হলের কাজের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এই প্রতীকী জবাবদিহিতা প্রশাসনের ব্যর্থতা ও গাফিলতির নগ্ন মুখোশ খুলে দিতেই।”
সম্প্রতি জকসু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে প্রশ্ন করলে তিনি দুই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন এবং জকসু ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
২০০৫ সালে প্রণীত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ গঠনের বিধান না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর থেকে জকসু নির্বাচন হয়নি। গত ২ জানুয়ারি ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় জকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। ৭ মে ১০০তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় আরো একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়, যা বর্তমানে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রকে আইন আকারে প্রণয়নের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, গঠনতন্ত্র প্রণয়নের অজুহাত দেখিয়ে প্রশাসন সময়ক্ষেপণ করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পথ আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী