পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির আবারও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন
Published: 7th, August 2025 GMT
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এ সপ্তাহেই আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন। পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ডন। তিনি এবার সফরে গেলে দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে এটি হবে তাঁর দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্র সফর।
ডনের খবরে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান এ সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে সেখানে তাঁর সমমর্যাদার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
পাকিস্তানের সরকারি সূত্রগুলো আরও বলেছে, এটি হবে পাল্টা সফর। এর আগে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা পাকিস্তান সফর করেছিলেন।
৪ আগস্ট দেওয়া এক প্রেস বিবৃতিতে সেন্টকম তাদের প্রধানের সাম্প্রতিক কয়েকটি সফর নিয়ে কিছু তথ্য মনে করিয়ে দিয়েছে। সেখানে জেনারেল কুরিলার পাকিস্তান সফরসহ ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ সফরের তথ্যও আছে।
আরও পড়ুনট্রাম্প কেন এই সময়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আপ্যায়ন করলেন১৯ জুন ২০২৫ফিল্ড মার্শাল মুনির এর আগে গত জুনে ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন। সে সময় হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন। এটি ছিল একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম পাকিস্তানের কোনো সেনাপ্রধানের সম্মানে ভোজের আয়োজন। অথচ তিনি পাকিস্তানের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান নন। সেবার আসিম মুনির পাঁচ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের সম্ভাব্য সফর নিয়ে এখন পর্যন্ত ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বা ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও আগের সফরের সময়ই সেনাপ্রধান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি বছরের শেষ ভাগে আবার যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের দিন জানা গেল চীন যাচ্ছেন মোদি১৭ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন
ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়।
পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন ।
সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় চার দিন পর পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সেই সংবাদের পর তার পরিবারের লোকজন এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ ইব্রাহিম।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন।
এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন।
বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।