পাকিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলি-বোমায় নিরাপত্তারক্ষীসহ নিহত ১১
Published: 7th, August 2025 GMT
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলি ও বোমা হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি ও আটজন নিরাপত্তাকর্মী। গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেলুচিস্তানের মাসটাং জেলার কির্দগাব এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীয় তিন কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হন তিনজন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি গাড়িতে করে নিরাপত্তাকর্মীরা যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ হয়।
হামলার আরেকটি ঘটনা ঘটে কারাক জেলার আমানকোট এলাকায়। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পসের গাড়িতে গুলি চালান পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-তালিবানের সদস্যরা। এতে বাহিনীর তিন সদস্য ও ওই বেসামরিক গাড়ির চালক নিহত হন। বন্দুকধারীদের হামলায় লাক্কি মারওয়াত জেলার রেলস্টেশন এলাকায় ফ্রন্টিয়ার কর্পসের আরও এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া পেশোয়ারে মঙ্গলবার রাতে মোটরসাইকেলে থাকা বন্দুকধারীদের গুলিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বন্ধুদের সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তা একটি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় এ হামলা হয়। পেশোয়ারের পুলিশ কর্মকর্তা মাদুস বানগাশ জানিয়েছেন, দুটি মোটরসাইকেলে চারজন হামলাকারী ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথের শিক্ষার্থী নূরনবী ক্যানসারে আক্রান্ত, ফুল বিক্রি করে সহায়তার উদ্যোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মীর নূরনবী কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। তবে অর্থসংকটে বন্ধ রয়েছে তাঁর চিকিৎসা। এ সংকট সমাধানে নূরনবীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা। এ জন্য ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রি করা হচ্ছে। সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে নূরনবীর চিকিৎসায়।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটে শিক্ষার্থীদের কাছে ফুল বিক্রি করে নূরনবীর চিকিৎসা বাবদ অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্যের চত্বরে টেবিল–চেয়ার পেতে ফুল বিক্রি করেন তাঁরা। এরপর শহীদ মিনার, কলা অনুষদ, সামাজিক অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের প্রাঙ্গণে হেঁটে হেঁটে শিক্ষার্থীদের কাছে ফুল বিক্রি করে নূরনবীর জন্য অর্থ সহায়তা নেওয়া হয়।
নূরনবী বর্তমানে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু পড়াশোনায় হাল ছাড়েননি নূরনবী। অদম্য সাহস ও স্বপ্ন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হন। প্রতিদিন সাভার থেকে বাসে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিয়মিত ক্লাস করেন তিনি। এরই মধ্যে সাতটি সেমিস্টার শেষ করেছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ক্যানসার এখন নূরনবীর ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়েছে।
ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আল শাহরিয়ার বলেন, ‘সবার সহায়তা নূরনবীর জন্য নতুন জীবনের আলো নিয়ে আসতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণার কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালিকা লাগানো হয়েছে। সামনে আরও নতুন কিছু অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আসুন, মানবতার বন্ধনে আমরা সবাই এক হয়ে নূরনবীর পাশে দাঁড়াই।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকারের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘অনেকেই অনেকভাবে নূরনবীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। আমরা ভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহের চিন্তা করলাম। ফুলের বিনিময়ে অর্থ সাহায্যের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা বেশ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নূরনবীকে সহায়তা করা হবে কি না—জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কে এ এম রিফাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রকল্যাণ দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনো বরাদ্দ নেই। এখানে যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটা শুধু দাপ্তরিক কাজে খরচ হয়। এখন নূরনবীর চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট আয়োজন করতে চেয়েছে তার সহপাঠীরা। সে ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব।’