নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ূন কবির।

তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বছরের শেষ দিকে ঘোষিত হবে। সে অনুযায়ী নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।’’

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে অতিথির বক্তব্য দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হুমায়ূন কবির এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী নগর বিএনপির সম্মেলনে তারেক রহমান বক্তব্য দেবেন

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় কিছু উপদেষ্টার মন খারাপ: হাফিজ

তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’’

সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বৈঠকটি ছিল সৌজন্যমূলক। তবে, আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তারেক রহমানের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তিনি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্র পরিচালনার পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।’’

এর আগে, সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

ঢাকা/নূর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন উপদ ষ ট ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে ঢাবিকে কলঙ্কিত করেছে শিবির, বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে জাতির গৌরবময় ইতিহাসকে ইসলামী ছাত্রশিবির বিকৃত করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন হিসেবে ক্যাম্পাসে শিবিরের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি তামজিদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রক্টরের অপসারণ দাবি করেছে সংগঠনটি।

ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, ’৯০–এর সামাজিক চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক-ফ্যাসিস্ট সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লজ্জভাবে শিবিরকে নরমালাইজ করার চেষ্টা করেছে। ঢাবি প্রক্টরের পক্ষপাতমূলক আচরণ শিবিরের এই জঘন্য কাজকে উৎসাহিত করেছ। তাঁর এ রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ আগামী দিনের সহাবস্থানের রাজনীতি তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঢাবি প্রক্টর ক্যাম্পাসের ভেতরে তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক গ্রাফিতি মুছে ফেলা, চারুকলার ভেতরে ঢুকে শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়া, একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আমলে না নেওয়াসহ নানা অভিযোগের সুষ্ঠু বিচারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অতএব ঢাবি প্রক্টরকে অপসারণ না করলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মতোই শিবিরের দলীয় আধিপত্য কায়েম হবে।’

চব্বিশের নাম দিয়ে একাত্তরকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্রশিবির জুলাই গণ–অভ্যুত্থান পরিপন্থী অবস্থান নিয়েছে বলে বলা হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পুর্নবাসনের সুযোগ পেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী গণহত্যকারীদের উদ্‌যাপনের চেষ্টা গণ–অভ্যুত্থানকে জনতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করার অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। এর আগেও ছাত্রশিবির মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করে তাদের নিজস্ব প্রকাশনায় বিতর্কিত লেখা ছেপে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ