টানা দ্বিতীয় বছর ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীত ৩০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সে জন্য কি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার যাঁরা আয়োজন করেন, তাঁদের ওপর তিনি কিছুটা ক্ষিপ্ত? পর্তুগিজ কিংবদন্তির কথায় তেমন মনে হতেই পারে।

পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই কিংবদন্তির মতো তাঁর একসময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও আটবার ব্যালন ডি’অরজয়ী লিওনেল মেসিও এবার মনোনীতদের তালিকায় দ্বিতীয়বারের মতো ঠাঁই পাননি। মেসির পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কিছু শোনা যায়নি। তবে রোনালদো ঠিকই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন ব্যালন ডি’অরের আয়োজক ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীকে।

আরও পড়ুনব্যালন ডি’অর: কারা দেয়, কীভাবে দেয়১৫ ঘণ্টা আগে

পর্তুগালে গতকাল প্রীতি ম্যাচে রিও আভেকে ৪-০ গোলে হারায় রোনালদোর দল আল নাসর। সৌদি ক্লাবটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। এ ম্যাচের পর ‘স্পোর্ট টিভি পর্তুগাল’ রোনালদোর কাছে জানতে চেয়েছিল, এবার ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন কে? রোনালদো এককথায় বলেন, ‘এটা আমার কাছে মনগড়া লাগে।’ অর্থাৎ ব্যালন ডি’অরের ওপর নিজের আস্থা হারানোর বিষয়টি বুঝিয়ে দেন ৪০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।

রোনালদোর মুখে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমালোচনা এই প্রথম নয়। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রি এ পুরস্কার জয়ের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো। ফেবারিট হয়েও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পুরস্কারটি জিততে না পারায় এই ক্লাবের সাবেক ফরোয়ার্ড রোনালদো ক্ষোভ উগরে বলেছিলেন, ‘কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পুরস্কারটি ভিনিসিয়ুসের জেতা উচিত ছিল। অনেকবার আমার এটাই মনে হয়েছে এবং রাগ লেগেছে।’

আরও পড়ুনদেখে নিন কারা আছেন ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায়০৭ আগস্ট ২০২৫

দীর্ঘ ২২ বছর পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীতের তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদো। আল নাসর তারকা বর্ষসেরার এ পুরস্কারে প্রথম মনোনয়ন পান ২০০৪ সালে। ২০০৬ সালে প্রথম মনোনয়ন পান মেসি।

এবার মনোনয়ন না পেলেও ২০২৪-২৫ মৌসুম কিন্তু খারাপ কাটেনি রোনালদোর। ক্লাবের হয়ে ৩৫ গোলের পাশাপাশি দেশের হয়ে করেছেন ৮ গোল। জিতেছেন নেশনস লিগ।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্যারিসে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা 

বন্দরে  হাজরাদী বায়তুল মোকাদ্দেস  জামে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নিয়মিত মুসল্লীদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মুসল্লীরা গনস্বাক্ষর নিয়ে কমিটি বাতিল দাবী জানিয়েছে । পাশাপাশি এমন হটকারী সিদ্ধান্তে কমিটি গঠনের  ক্ষোভ ফুসে উঠছে  স্থানীয়  এলাকাবাসী ও সাধারন মুসল্লীরা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা জানান, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের  হাজরাদী বায়তুল মোকাদ্দেস জামে মসজিদের আশপাশে ব্যবসায়ী ও বেশি আয়ের লোকজনের বাস হওয়ায় দ্রুততম সময়ে মসজিদের উন্নতি হতে যাচ্ছে।

তবে  উল্লেখিত  মসজিদের বর্তমান কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছে।  স্বৈরাচার সরকারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্দনে কমিটির সভাপতি কাজী মহিবুর রব আবির নিয়মিত মুসল্লীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিরা অনুপ্রবেশ করেছে।

এরমধ্যে যেমন রয়েছে সুদ ব্যবসায়ী তেমনি রয়েছে অর্থ আত্বসাতকারী ব্যক্তিরাও।  কমিটির সভাপতির নিজের পছন্দের লোক দিয়ে এসব বিতর্কিত লোকদের কমিটিতে স্থান দিয়েছে। কমিটির অর্থ সম্পাদক কমল কাজী তো সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে মানুষকে সর্বশান্ত করেছে।

১৯৯৬ সালে এই কমল কাজী সমিতির নাম করে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে  পালিয়েছিল। পরে ২০১৫ সালে পূনরায় দেশে ফিরে আসেন। তাদের প্রতি সমর্থন নেই সাধারণ মুসুল্লীদের। তারা নামাজি ও ভালো মানুষদের কমিটিতে চান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদের নিয়মিত একজন মুসুল্লী জানান, অতীতে নামাজি ও ভালো মানুষকে কমিটিতে প্রাধান্য দেয়া হতো। এবার নতুন কমিটিতে কয়েকজন বিতর্কিত লোক প্রবেশ করেছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী মহিবুর রব আবির বেশির ভাগ সময়ই ঢাকা থাকেন।

মসজিদ কমিটি পরিচালনা করেন কমিটির সহ সভাপতি তপন কাজী মিয়া। তপন মিয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্তেই মসজিদ কমিটিতে নিজেদের মনগড়া করে গঠন করা হয়েছে। এলাকার সাধারন মুসল্লীরা এসব মনগড়া পকেট কমিটি বাতিল দাবী করে গনস্বাক্ষর নিচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, যারা মসজিদের কমিটিতে আসছেন এদের মধ্যে অনেকে নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়ে না। একমাত্র শুক্রবার জুম্মার নামাজ ছাড়া এদের মসজিদে দেখা মিলে না। তাদের মতে নিয়মিত মুসল্লীদের সামনে রেখে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনে সময় নিয়ে একটি ভালো কমিটি গঠন করা উচিৎ ছিল।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী মহিবুর রহমান আবিরকে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নাই। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় মুসল্লীরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা