ব্যালন ডি’অরকে ‘মনগড়া’ বললেন রোনালদো
Published: 9th, August 2025 GMT
টানা দ্বিতীয় বছর ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীত ৩০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সে জন্য কি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার যাঁরা আয়োজন করেন, তাঁদের ওপর তিনি কিছুটা ক্ষিপ্ত? পর্তুগিজ কিংবদন্তির কথায় তেমন মনে হতেই পারে।
পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই কিংবদন্তির মতো তাঁর একসময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও আটবার ব্যালন ডি’অরজয়ী লিওনেল মেসিও এবার মনোনীতদের তালিকায় দ্বিতীয়বারের মতো ঠাঁই পাননি। মেসির পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কিছু শোনা যায়নি। তবে রোনালদো ঠিকই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন ব্যালন ডি’অরের আয়োজক ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীকে।
আরও পড়ুনব্যালন ডি’অর: কারা দেয়, কীভাবে দেয়১৫ ঘণ্টা আগেপর্তুগালে গতকাল প্রীতি ম্যাচে রিও আভেকে ৪-০ গোলে হারায় রোনালদোর দল আল নাসর। সৌদি ক্লাবটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। এ ম্যাচের পর ‘স্পোর্ট টিভি পর্তুগাল’ রোনালদোর কাছে জানতে চেয়েছিল, এবার ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন কে? রোনালদো এককথায় বলেন, ‘এটা আমার কাছে মনগড়া লাগে।’ অর্থাৎ ব্যালন ডি’অরের ওপর নিজের আস্থা হারানোর বিষয়টি বুঝিয়ে দেন ৪০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
রোনালদোর মুখে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমালোচনা এই প্রথম নয়। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রি এ পুরস্কার জয়ের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো। ফেবারিট হয়েও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পুরস্কারটি জিততে না পারায় এই ক্লাবের সাবেক ফরোয়ার্ড রোনালদো ক্ষোভ উগরে বলেছিলেন, ‘কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পুরস্কারটি ভিনিসিয়ুসের জেতা উচিত ছিল। অনেকবার আমার এটাই মনে হয়েছে এবং রাগ লেগেছে।’
আরও পড়ুনদেখে নিন কারা আছেন ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায়০৭ আগস্ট ২০২৫দীর্ঘ ২২ বছর পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীতের তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদো। আল নাসর তারকা বর্ষসেরার এ পুরস্কারে প্রথম মনোনয়ন পান ২০০৪ সালে। ২০০৬ সালে প্রথম মনোনয়ন পান মেসি।
এবার মনোনয়ন না পেলেও ২০২৪-২৫ মৌসুম কিন্তু খারাপ কাটেনি রোনালদোর। ক্লাবের হয়ে ৩৫ গোলের পাশাপাশি দেশের হয়ে করেছেন ৮ গোল। জিতেছেন নেশনস লিগ।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্যারিসে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় নিহত ৬৯ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে শান্তিচুক্তির এক মাস পূর্ণ হয়েছে। তবে এ সময় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত শনিবারও উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলায় বুরেইজ শরণার্থীশিবিরে একজন ফিলিস্তিনি পুরুষ নিহত হয়েছেন। অপর দিকে ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় তথাকথিত ‘হলুদ লাইন’ অতিক্রম করার অভিযোগে দুজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৬৯ হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, তারা হাদার গোল্ডিন নামের একজন ইসরায়েলি সেনার মরদেহ উদ্ধার করেছে। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলার সময় আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর জানা যায়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলকে আরও পাঁচজন জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা হামাসের। গোল্ডিন তাঁদের একজন। হামাস জানিয়েছে, ওই স্থান থেকে ছয়জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা। গত শনিবার ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস ও রেডক্রসের কর্মীদের রাফায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি এলাকায় গোল্ডিনের মরদেহ খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।