চিকিৎসা সরঞ্জামের ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়, নজর দিলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা সম্ভব
Published: 10th, August 2025 GMT
দেশে চিকিৎসাকাজে প্রায় চার হাজার ধরনের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়। এর ১০ শতাংশ দেশে তৈরি হয়, ৯০ শতাংশ আমদানি করা হয়। পরনির্ভরশীলতা কমাতে এই খাতকে পৃথক শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলেছেন, যথাযথ গুরুত্ব দিলে ওষুধের মতো চিকিৎসা যন্ত্রপাতি তৈরিতেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব।
আজ রোববার দুপুরে ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এই খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিএএমডিএসআইএমই) ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজধানীর রমনা এলাকায় বিএএমডিএসআইএমই কার্যালয়ে এ সভা হয়।
মতবিনিময় সভায় বিএএমডিএসআইএমইর সভাপতি ও জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
ব্যবসায়ীরা বলেন, একসময় প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯০ শতাংশই আমদানি করা হতো। ১৯৮২ সালের ওষুধনীতি পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। দেশ এখন ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের নীতিসহায়তা পেলে প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দেশেই তৈরি করা সম্ভব।
আপাতত সরকারের কাছে চারটি দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামকে পৃথক শিল্পের মর্যাদা দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নীতি, আইন তৈরি করতে হবে। এখনই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে এর জন্য পৃথক শাখা খুলে সেখানে একজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি যেসব সরঞ্জাম দেশে তৈরি হচ্ছে, সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করতে হবে।
চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য পৃথক শিল্পাঞ্চল করা দরকার বলে মন্তব্য করেন এএনসি মেডিকেল ডিভাইস বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওহেদুর রহমান।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বলেন, খাতটি বেশ পেছনে পড়ে থাকার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এখানে কোনো নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানিকারকেরা বেশ জোটবদ্ধ এবং তারা নানাভাবে সরকারকে প্রভাবিত করে। তবে আশার কথা এই যে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এই খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে তরুণেরা বের হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান ৪০টি দেশে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রপ্তানি শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গেটওয়েল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইদ হোসেন চৌধুরী ও এক্যুরা বায়োটেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও সরঞ জ ম ব যবস য় এই খ ত আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসা সরঞ্জামের ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়, নজর দিলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা সম্ভব
দেশে চিকিৎসাকাজে প্রায় চার হাজার ধরনের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়। এর ১০ শতাংশ দেশে তৈরি হয়, ৯০ শতাংশ আমদানি করা হয়। পরনির্ভরশীলতা কমাতে এই খাতকে পৃথক শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলেছেন, যথাযথ গুরুত্ব দিলে ওষুধের মতো চিকিৎসা যন্ত্রপাতি তৈরিতেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব।
আজ রোববার দুপুরে ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এই খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিএএমডিএসআইএমই) ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজধানীর রমনা এলাকায় বিএএমডিএসআইএমই কার্যালয়ে এ সভা হয়।
মতবিনিময় সভায় বিএএমডিএসআইএমইর সভাপতি ও জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির বাজার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। প্রায় চার হাজার রকমের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়। প্রয়োজনের ১০ শতাংশ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দেশের ১০ থেকে ১২টি কোম্পানি তৈরি করে। বাকি ৯০ শতাংশ ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, একসময় প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯০ শতাংশই আমদানি করা হতো। ১৯৮২ সালের ওষুধনীতি পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। দেশ এখন ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের নীতিসহায়তা পেলে প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দেশেই তৈরি করা সম্ভব।
আপাতত সরকারের কাছে চারটি দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামকে পৃথক শিল্পের মর্যাদা দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নীতি, আইন তৈরি করতে হবে। এখনই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে এর জন্য পৃথক শাখা খুলে সেখানে একজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি যেসব সরঞ্জাম দেশে তৈরি হচ্ছে, সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করতে হবে।
চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য পৃথক শিল্পাঞ্চল করা দরকার বলে মন্তব্য করেন এএনসি মেডিকেল ডিভাইস বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওহেদুর রহমান।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বলেন, খাতটি বেশ পেছনে পড়ে থাকার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এখানে কোনো নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানিকারকেরা বেশ জোটবদ্ধ এবং তারা নানাভাবে সরকারকে প্রভাবিত করে। তবে আশার কথা এই যে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এই খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে তরুণেরা বের হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান ৪০টি দেশে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রপ্তানি শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গেটওয়েল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইদ হোসেন চৌধুরী ও এক্যুরা বায়োটেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।