‘অনূর্ধ্ব-২০ নারী এএফসি এশিয়ান কাপ-২০২৫’ বাছাইপর্বে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ রোববার বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায়। কিন্তু বিরতির পর খেই হারিয়ে ৬-১ ব্যবধানে হার মানে।

অথচ এই ম্যাচে কোনক্রমে ড্র করতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবার যুব এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিতে পারত। কিন্তু বড় ব্যবধানে হার মানায় তাতে হতাশ হয় বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। আর বাংলাদেশের ভাগ্য ঝুলে যায় সমীকরণের হাতে।

তবে হতাশার মধ্যেও সুখবর এসেছে। আট গ্রুপের আটটি চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে তিনটি সেরা রানার্স-আপ দলও জায়গা পাবে মূলপর্বে। সেই তিনটি রানার্স-আপ দলের একটি হয়েছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট ও +৫ গোল গড় নিয়ে সেরা তিন রানার্স-আপদের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

আরো পড়ুন:

দ্বিতীয়ার্ধে খেই হারিয়ে হারলো বাংলাদেশ

প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ ১, দ.

কোরিয়া ১

আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না আসলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মানুষের শঙ্কা এখনো কাটেনি: জামায়াত নেতা তাহের

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের শঙ্কা এখনো কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘দেশে এককভাবে নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করে জিতে যাওয়ার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, মানুষের ভেতরে এখনো সে শঙ্কাটা কাটেনি যে নির্বাচন ফেয়ার (অবাধ ও সুষ্ঠু) হবে কি না। সে জন্য আমরা বলেছি, সরকারকে অনেকগুলো উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে করে মানুষ কনফিডেন্স (আত্মবিশ্বাস) পায় যে এবার নির্বাচনটি সঠিক হবে। আমরা (ভোটার) ভোট দিতে যেতে পারব।’

তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী সব সময় নির্বাচনের পক্ষে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তারিখের ব্যাপারে জামাতের মৌলিক কোনো আপত্তি নেই।’

আজ রোববার রাজধানীর আঁগারগাওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা–১১ (চৌদ্দগ্রাম)–এর সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত বিষয়ে সিইসির সঙ্গে এ সাক্ষাৎ হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিইসির সঙ্গে আলাপকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই আরও দুটো কাজ সারতে হবে আমাদের। একটা হচ্ছে বিচারকে দৃশ্যমান করতে হবে। সিম্বলিক করতে হবে। সকল বিচার এ সময়ে সম্ভব না, এটা আমরা জানি। কিন্তু এটা সিম্বলিক এবং দৃশ্যমান করতে হবে যে গভর্নমেন্ট বিচারে সিনসিয়ার (আন্তরিক) আছে। তারাও জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আলাপের প্রসঙ্গ তুলে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আজকে মাননীয় সিইসিকে বলেছি যে নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সবার জন্য সমান সুযোগ)। খেলার মাঠটা সমান হইতে হবে। কারওটা উঁচা–নিচা এটা হবে না। এবং উনি আমাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। বলেছেন, যদিও এটা আজকে আমার জামাতের পক্ষ থেকে ও রকম পদ্ধতিমূলক নয়। তারপর উনি বলেছেন যে আমার দিক থেকে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব। এই ব্যাপারে আমি সিরিয়াস থাকব। আমি ইমানি দায়িত্ব মনে করেই দায়িত্ব নিয়েছি। কারও প্রতি কোনো রাগ–বিরাগ বা ফেভার আমি করব না। আমার জীবন থাকতে হলেও আমি এটাকে ফেয়ার ইলেকশনের জন্য যে ভূমিকা নেওয়ার, আমরা সেটা নেব। আমরা চিফ ইলেকশন কমিশনারের ওপরে এখনো আস্থা রাখতে চাই।’

কোনো দখলীয় নির্বাচনকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না উল্লেখ করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পুলিশ, এসপি, ডিসি তাদের সঠিক নিরপেক্ষ লোকদের বসানো এবং বিভিন্ন জায়গায় সেট এবং ট্রান্সফার করা এগুলো খুবই জরুরি এবং আমরা সেটা দেখতে চাই। আমরা এ রকম একটি বাংলাদেশের মানুষ অথবা বাংলাদেশ আর কোনো রিগড মানে দখল বা আনফেয়ার ইলেকশন বাংলাদেশ সহ্য করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। এ রকম কোনো কিছু হলে এ দেশের মানুষ আবার রাস্তায় নামবে এবং কোনো দখলীয় নির্বাচনকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের লেভেলে (পর্যায়ে) পৌঁছায়নি, জামায়াতের পক্ষ থেকে এমন শঙ্কা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে বলে জানান তিনি।

কমিশন আসছে, ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে, এমন তথ্য জানিয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন ফাইনাল ডেটটা ডিক্লেয়ার করবে। যেটা উনারা বলেছেন ডিসেম্বরে উনারা ডিক্লেয়ার করবেন। হাওএভার (অবশ্য) নির্বাচনের জন্য তো সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটা হচ্ছে একটা ক্রেডিবল, ফেয়ার, ফ্রি, পার্টিসিপেটরি ইলেকশন। এটাই গণতন্ত্রের দাবি। এ দেশের মানুষের দাবি।’

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করলে দলগুলোর নিজস্ব মতামতের বহিঃপ্রকাশের একটা সুযোগ ছিল বলে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন জামায়াতের নায়েবে আমির। এ ছাড়া জুলাই সনদের বিষয়ে প্রয়োজনে গণভোট হতে পারে বলেও মত দেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমাদের কিছু বাড়তি পলিটিক্যাল দাবি আছে। যেটা সংসদে আমরা একটি অংশে একমত হয়েছি, সেটা হচ্ছে পিআর আপার হাউসে (উচ্চকক্ষ)। কিন্তু আমাদের দাবি হচ্ছে, পিআর টোটাল। আপার হাউস অ্যান্ড লোয়ার হাউস বোথ এবং সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব।’

কুমিল্লা সদর ও দক্ষিণের একটি অংশ যুক্ত করে ভোটার সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আসন আগের মতোই রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ